রক্ত দান একটি মহৎ গুন এবং এর প্রয়োজনীয়তা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা রক্তদান একটি মহৎ গুণ এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করব। আপনার মনে যদি রক্তদান একটি মহৎ গুণ এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি রক্তদান একটি মহৎ গুণ এবং এর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
রক্ত দান একটি মহৎ গুন এবং এর প্রয়োজনীয়তা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক পারস্পরিক সম্প্রীতি আর ভালবাসায় ভালবাসায় গড়ে উঠেছে আজকের পৃথিবী । আজকে আমরা আলোচনা করব রক্তদান সম্পর্কে । বাণী চিরন্তন সত্য মানুষ মানুষের জন্য । রক্ত দানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো যায় এই বিষয় নিয়েই আজকের আলোচ্য ।

ভূমিকা

পরস্পরিক সম্প্রীতি আর ভালোবাসায় গড়ে উঠেছে আজকের পৃথিবী । এটাই স্বাভাবিক এক মানুষ অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য সহযোগিতা করবে । শাশ্বত বাণী হয়ে উঠেছে আজ তাইতো মানুষ মানুষের জন্য । এরূপ প্রেক্ষাপটে রক্তদান একটি মহৎ এবং পাশাপাশি মানবিক দায়িত্ব ও বটে । মৃত্যুর পথযাত্রী কোন মানুষকে রক্ত দেওয়ার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে রাখার মত বড় কাজ কি আর হতে পারে ।

রক্তদানে জীবন পাওয়া

মুমূর্ষু রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে শুধু রক্তের বদলে । চলতি শক্তিহীন মানুষ খুঁজে পাই জীবন চলার অপার আনন্দ । তাই রক্তদান মহৎ কর্ম দান হিসেবে । রক্তদানের মধ্য দিয়ে মানবদেহে জন্মে এক সজ্জীবনী শক্তি যা তার প্রভমান জীবনধারাকে অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে । তাই রক্ত ও প্রাণ শক্তির দত্তক ।

রক্তের প্রয়োজনীয়তা

রক্ত একটি অত্যাবশকীয় উপাদান মানব দেহের জন্য । মানুষের শিরা-উপশিরা আর ধমনীতে রক্ত প্রবাহ দেহকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য সাহায্য করে । রক্তের প্রবাহমান ধারা হৃদপিন্ডে প্রবেশ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের সরবরাহ করে যা শ্বাস-প্রশ্বাসকে সচল রাখতে সাহায্য করে । এছাড়াও রক্তের মধ্যে থাকে মানবদের জন্য অত্যন্ত উপকারী নানা উপাদান । মানবদেহে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে কম রক্ত থাকলে ঘুরতে পারে নানা ধরনের সমস্যা ।
এছাড়াও রোগ বা দুর্ঘটনায় রক্তক্ষরণ হলে তা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে । চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ মহামূল্যবান রক্তকে চারটি ভাগে ভাগ করেছে । যথা, A ,B ,AB.O । সাধারণত রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিল রেখেই অন্য মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চারিত করা হয় । একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ রক্তদানের মাধ্যমে বাঁচাতে পারে অনেক মানুষের জীবন ।

রক্তদান প্রক্রিয়া

যেকোনো সুস্থ মানুষের দেহ থেকে ২৫০ মিলি রক্ত সংগ্রহ করা যায় বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অসাধারণ অগ্রগতির ফলে । ওই ঘাটতি পূরণ হয় মাত্র সাত দিনের মধ্যে । আবার সংগৃহীত রক্ত হাসপাতালে অথবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সংরক্ষিত হতে পারে । সাধারণত ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ফ্রিজে কমপক্ষে ১৯ দিন থেকে তিন মাস পর্যন্ত এ রক্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং প্রয়োজনমতো তা অন্য মানুষের দেহে প্রবেশ করানো যেতে পারে ।

রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা

রক্তদান তথা জীবন দান । ফিরে পায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবন একজনের দানে অন্যজন । তাই সত্যিই বিরল রক্তদানের মত মহৎ কর্ম । সচেতন হওয়া প্রয়োজন তাই রক্তদানে আমাদের । টেলিভিশন ও বেতার পত্রিকায় সকল গণমাধ্যমে রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে হবে । এজন্য সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন ।

রক্তদান ক্যাম্প

জনকল্যাণমুখী নানা প্রতিষ্ঠান বছরের বিভিন্ন সময়ে রক্তদান ক্যাম্প বা শিবির খুলে রক্ত সংগ্রহ করে । এছাড়াও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ও মানুষকে রক্তদানে অনুপ্রাণিত করে এবং নানা উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে রক্ত সংগ্রহ করে । আমাদের দেশে সন্ধানী , রেড ক্রস । বা রেড কিসেন্ট এবং কোয়ান্টাম মেথড নামের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রক্ত সংগ্রহের মত মহৎ কাজটি করে যাচ্ছে ।

রক্তদান মহৎ গুন

রক্তদান মানব সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত । একজন মানুষের জীবন বেঁচে যায় রক্তদানের মধ্য দিয়ে । রক্ত গ্রহীতা মানুষটি পৃথিবীর রূপ , আলো , বাতাস ত্রাণ ভরে গ্রহণ করতে পারে । সমস্ত জাত , ধর্ম , বর্ণ গোত্রের সবার রক্ত লাল রক্তের কোন ভেদাভেদ নেই । রক্তদানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে মানবিক ঐক্য । রক্তদানের মধ্য দিয়ে নির্মিত হয় ভাতৃত্ব । তাই রক্তদানের মত মহান সেবা কে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ।

রক্তদানের উপকারিতা

একজন মানুষের জীবন বাঁচানো হলো রক্তদানের প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য । স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী রক্ত দান করা । শরীরের মধ্যে অবস্থিত বোন ম্যারো নতুন কণিকা তরী করে রক্তদানের মধ্য দিয়ে ।রক্ত দান করার পরে দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে । 
যারা রক্তদান করে তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে যারা বছরে দুইবার রক্ত দেয় । শরীরে বড় ধরনের কোন রোগ।বাসা বেধে আছে কিনা রক্তদান করলে তা সহজে জানা যায় । মুসলমান হিসেবে অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ রক্ত দান করা ।

রক্তদানের অপকারিতা

রক্তদানকারীর বয়স ১৮ বছরের উপরে হতে হবে । তা না হলে সমস্যা হবে । রক্তদানকারীর ওজন ৫০ কেজের উপরে হতে হবে তা না হলে শরীরের অনেক সমস্যা হতে পারে । রক্তদান করতে নির্দিষ্ট সময় আছে রক্ত দান করা উত্তম বছরে তিনবার ।

লেখকের মন্তব্য

মানুষ অন্য মানুষের সহযোগিতা ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না । রক্তদানের মধ্যে এর সত্যের উপলব্ধি হয় যথার্থভাবে । আজকের পৃথিবীতে যে অশান্তির অশনি সংকেত পাওয়া যায় তা নিবারণে রক্তদানের মত মহৎ কর্মটি হতে পারে অনন্য দৃষ্টান্ত ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url