কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকে আমরা কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় সে সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। আপনার মনে যদি  কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি  কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় জেনে নিন
জীবদেহে কোষের ভিতরে অসংখ্য রাসায়নিক ক্রিয়া ঘটে । রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন কিছু পদার্থ দেহের জন্য অপরিহার্য আবার কিছু পদার্থ দেহের জন্য ক্ষতিকর । এই ক্ষতিকর পদার্থ গুলো দেহ থেকে বের করে দেওয়া খুবই জরুরি । কিডনি নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য অতিরিক্ত অলমো শরীর থেকে বের করে দেয় ।

ভূমিকা

সাধারণত দুটি কিডনি থাকে স্ত্রী ও পুরুষ দুজনের শরীরে । মেরুদন্ডের দুই পাশে পেটের ভিতর পিঠের দিকে কিডনি অবস্থিত । কিডনি দেখতে শিমের বিচির মত এর রং লাল । কিডনির সমস্যা দেখা দিলে যেমন ঘন ঘন প্রস্রাব,প্রস্রাব লাল হওয়া,প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা, শরীর ও মুখমন্ডল খুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। 


কয়েক মাস বা বছর কিডনির চিকিৎসার করার পরে ভালো না হলেও এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে সেটাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলে।

কিডনি কি

মানব দেহের উদর গহ্বরের পিছনের অংশে মেরুদন্ডের দুদিকে বক্ষপিঞ্জরের নিচে পিঠ সংলগ্ন অবস্থায় দুটি কিডনি অবস্থান করে । প্রতিটি কিডনি দেখতে সিম-বিচির মত এবং রং লালচে । কিডনির বাহিরের পার্শ অবতল হয় । অবতল অংশের ভাজ কে হাইলাস বলে । 

হাইলাসের ভেতর থেকে ইউরেটার এবং রেনাল শিরা বের হয় এবং রেনাল ধমনী কিডনিতে প্রবেশ করে । দুটি কিডনি থেকে দুটি ইউরেটার বের হয়ে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে । বেষ্ঠিত থাকে এক ধরনের তন্তু ময় আবরণ দিয়ে ।

কি কারণে কিডনি রোগ হয়?

সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে গেলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি । কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় পরিপূর্ণ বিকল হওয়া ছাড়াও । কার্যকারিতা লোপ পায় কিডনি অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ।

কিডনি রোগ দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ একুইট ও ক্রনিক

১.একুইট কিডনি ইনজুরি
কিডনিইনজুরি হল সাময়িক কিডনির সমস্যা । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ , ডায়রিয়া কারণে হয়তো কিডনি র কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা বিনষ্ট হয়েও যেতে পারে । হঠাৎ একুইট কিডনি ইনজুরি হয়ে গেছে কারণ হয়তো সে দৌড়ে অংশ নিয়ে পড়ে যাওয়ার কারণে । 

অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যাথা নাশক ঔষধের ব্যবহারের কারণেও ১৫ থেকে ২০% কিডনি রোগের কারণ হতে পারে । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ডায়রিয়া হওয়ার পর চিকিৎসা দ্রুত নিলে ভালো অবস্থানে ফিরে আসতে পারে কিডনি । কিডনি স্থায়ীভাবে বিকল হতে পারে অবহেলা করলে ।

২.ক্রনিক কিডনি ডিজিস
একটি দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ । উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস কিডনির প্রধান এই রোগের প্রধান কারণ । জন্মগত অসুখ কিংবা বংশগত অসুখ পলি সি স্টিক কিডনি ডিজিজ থাকলেও অসুখ হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি কিডনির । হতে পারে মাতৃগর্ভে কিডনির গঠনগত অস্বাভাবিকতা জন্য ও ।

এর কিছু লক্ষণগুলো হলো ক্ষুধা মন্দা , শারীরিক দুর্বলতা , প্রস্রাব কম হওয়্‌ ইনফেকশন হওয়া ইত্যাদি ।পুরোপুর নিরাময় করা সম্ভব হয় না সিকে ডিতে আক্রান্ত হলে । রোগীকে রোগের জটিলতা থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয় । পরিপূর্ণ কিডনি বিকল হয়ে গেলে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বা ডায়ালিসিস করাতে হয় ।

৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি দৈনিক পান করা , উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটি কস নিয়ন্ত্রণে রাখা শাক-সবজি ফলমূল , শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যায়াম করা , ধূমপান ত্যাগ করা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ক্রনিক কিডনি ডিজিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় ।

কিডনি রোগের লক্ষ

  • যদি শরীর ফুলে যায় , এবং সেই ফুলটা যদি মুখমন্ডল থেকে শুরু হয় ।
  • স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে প্রস্রাবের পরিমাণ ।
  • যদি লাল হয় এবং রক্ত যায় প্রস্রাব করার সময়
  • যদি ব্যথা হয় কোমরের দুই পাশে ।
  • তলপেটেও হতে পারে এই ব্যথা ।
  • দেখা দিলে উচ্চ রক্তচাপ
অবশ্যই কিডনি পরীক্ষা করতে হবে কিছু রোগ আছে যা থাকলে । যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস , মুখমন্ডল ফুলে গেলে আবার যদি কখনো স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন বেশি হলে । যে সকল মানুষ হাঁটাচলা কম করে বা বসে বসে কাজ করে ।

ব্যথার ওষুধ খায় দীর্ঘদিন যাবত । পানি কম খায় , বংশের কারো কিডনি রোগ আছে এসব থাকলে বছরে দুইবার পরীক্ষা করা উচিত কিডনি ।

ত্বকে ফুটে ওঠে কিডনি রোগের যে লক্ষণ

কিডনি হলো মানবদেহে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ ।কিডনির মাধ্যমে শরীরের সব ধরনের বজ্র পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায় । কিডনি শরীরের তরল ভারসাম্য রক্ষার কাজটিও করে । কিডনি বিকল হয়ে পড়তে পারে খারাপ খাবার খেয়ে বা বেশি পানি পান না করার মাধ্যমে । কেউই টের পান না কিডনিতে কোন সমস্যা হলে । 


চিকিৎসকের কাছে যান রুগী রোগটা অনেক ছড়িয়ে পড়ার পরে । টাই অগ্রহ করা চলবে না কিডনি সমস্যার কোন লক্ষণ দেখা দিলে । অনেকটা বেড়েছে বর্তমানে কিডনি রোগী অতীতের তুলনায় । ডায়াবেটিক্স হল কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ । কিডনি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে । 

কিডনির ক্ষতি একবার হয়ে গেলে সেই ক্ষতি আর কাটানো যায় না । চিকিৎসকরা এই রোগ যেন আর বাড়তে না পারে শুধু সেই চিকিৎসাই দিয়ে থাকে । কোন লক্ষণ জানেন না ডায়াবেটিক্স আক্রান্ত সহ বেশিরভাগ মানুষই কিডনির অসুখে । রোগ শনাক্তে সহজ হয় এসব লক্ষণ জানা থাকলে । কিডনি রোগের প্রাথমিক চার লক্ষণ জেনে নেওয়া যাক ।
  • ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয় যেমন ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা তেমনি কিডনি রোগেরও প্রাথমিক লক্ষণ এটা । আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কথা বলে প্রসাবে পরিমাণ ও সংখ্যাও । স্বাভাবিক প্রসব হলো দিনে 6 থেকে 10 বার । বার বার প্রসাব হতে পারে কিডনির সমস্যা থাকলে । রক্ত ও বের হতে পারে প্রস্রাবের সঙ্গে । এমন নয় প্রস্রাব সবসময় বেশি হবে । অনেক সময় রোগীর প্রস্রাব কমেও যেতে পারে কিডনির সমস্যার কারণে ।
  • প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম কিডনির সমস্যায় দুর্বলতা । শরীরের অবস্থা যতটা খারাপ হয় কিডনি যত খারাপ হতে থাকে । চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সব সময় দুর্বল বোধ করলে ।
  • শরীরের সব ধরনের পদার্থ বের করে দেওয়া কিডনির কাজ । এই কাজ ঠিকমতো হয় না কিডনিতে রোগ বাসা বাঁধলে । তখন এর সাপ ত্বকে পড়ে । সমস্যা দেখা দিতে পারে চুলকানি ও ত্বক ক খসখসে হয়ে যাওয়া । চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এসব চর্মরোগ কেন হচ্ছে তা জানার জন্য ।
  • ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে কিডনি শরীরে সোডিয়ামের । সেই কাজটা ঠিকমতো হয় না কিডনি খারাপ হলে । দেখা দেয় সমস্যা এর ফলে । হাত-পা ফুলেও যেতে পারে এর কারণে ।

কিডনি রোগের প্রতিকার

রোগমুক্তির জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা রয়েছে যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে বা যারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন । কিডনি রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি যাদের উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিক্স , নেফ্রাইটিস আছে যাদের । এই তিন কারণে নষ্ট হয়ে থাকে আমাদের দেশে শতকরা ৮০ভাগ কিডনি ।

শতকরা আসি ভাগ কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এই তিনটি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে । চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব যাদের ঘনঘন কিডনিতে ইনফেকশন হয় কিডনিতে বাধা-জনিত রোগ আছে এবং যাদের পাথর জনিত রোগ আছে । কিডনি ফেইলর থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে একটু সতর্ক থাকলে । যেমনঃ
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখুন এটাই রোগীদের জন্য পরামর্শ । নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওজন , শরীরের জন্য ক্ষতিকর অতি ওজন এবং বেশি ওজন থেকে শুরু হয় রক্তচাপ বায়াবেটিস । ওজন বৃদ্ধির কারণে শতকরা 30 ভাগের বেশি কিডনি রোগ হয়ে থাকে ।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখবেন যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে ।
  • কোলেস্টেরল কমানোঃ খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই যাদের রক্তে কোলেস্টেরল এবং অন্য প্রকার ট্রাইগির সাইড এলডিএল বেশি থাকে সেসব ক্ষেত্রে এগুলো নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য । খাবার বর্জন সর্বোত্তম চর্বি জাতীয় মাছের চর্বি খাওয়া যেতে পারে , কোন অসুবিধা নেই না খাওয়াই ভালো চিংড়ি মাছের মাথা এবং মাছের মগজ ।
  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ একটা ভালো উপায় হল নিয়মিত বায়ান কিডনি ভালো রাখার জন্য । খুলেছিল যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তেমনি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে । অল্প দূরে রাস্তা হলে সেসব জায়গাতে যাওয়ার জন্য রিক্সা বা গাড়িতে নাচরে পায়ে হতে গেলে সেসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলপ্রসু হয় ।জাপানে যারা সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে তারা সবচেয়ে দীর্ঘায়ু কেননা তারা বেশি হাটেন একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে ।ধুমপান পরিহার করুনঃ করতেই হবে পরিহার ধূমপান । কিডনির ক্ষতি করে তেমনি রক্তচাপ ও বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রণ করে তোলে কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় ব্রেনের জীবনের শক্তি মানুষের এবং সৃষ্টি করে ক্যান্সারের শুধুমাত্র ধূমপানের মাধ্যমে ।
  • পরিমিত পানি পান করাঃ পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে । কিডনির জন্য ক্ষতিকর কম অথবা অতিরিক্ত পানি পান করা ।
  • ঔষধ সেবন না করা এবং পেইনকিলার অতিরিক্ত না করা।
  • খাবার পরিহার করা অতিরিক্ত আমিষ জাতীয়।

কিডনি রোগীর খাবার

কিডনি রোগ অন্যতম মানব দেহের জটিল রোগ গুলোর মধ্যে । খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কিডনির রোগ হলে । খাবার খেতে হবে সারা জীবন সতর্কতার সঙ্গে ।

এই বিষয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ক্যালোরিঃ ক্যালোরি চাহিদা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় বাড়ানো হয় কিডনি রোগীদের সাধারণত । রোগী ভেদে 30 থেকে 35 কিলো ক্যালরি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয় সাধারণত প্রতি কেজি ওজনের জন্য ।

প্রোটিনঃ নিয়ন্ত্রণ জরুরী প্রোটিনের । পয়েন্ট পাঁচ থেকে পয়েন্ট আট গ্রাম প্রোটিন বাধ্য করা যেতে পারে দীর্ঘনিয়াদি কিডনি রোগে প্রতি কেজি ওজনের জন্য । কিডনি রোগীদের বর্জন করতে হবে ডাল , বাদাম , কাঁঠালের বিচি , সেমের বিচি ইত্যাদি । 

ডিমের সাদা অংশ , মাছ , মুরগির মাংস ও দুধ বাদই ইত্যাদি থেকে হিসাব করে বন্ধ করা হয় দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা অনুযায়ী । অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে গরু খাসির মাংস কলিজা মগজ ইত্যাদি থেকে ।

ফলঃ খাওয়ার ক্ষেত্রে কিডনি রোগীদের সতর্ক হতে হয় । অল নির্ধারণ করা হয় রক্তচাপ ছাড়াও পটাশিয়াম ইউরিক এসিড অক্সালিক এসির এইসব কিছুর উপর নির্ভর করে । সীমিত আকারে দেওয়া হয় তিন চারটি ফল রোগী ভেদে । যেমন পেয়ারা পাতা পেতে আপেল ইত্যাদি।

তরল/পানিঃ তরল নিয়ন্ত্রণ জরুরি কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে । তরলের হিসাব করা হয় দৈনিক চা দুধ, পানি সবমিলিয়ে । এক থেকে দেড় লিটার কখনো কখনো দুই লিটার পর্যন্ত করা হয় শরীরের হিমোগ্লোবিন সোডিয়াম এইসবের মাত্রার উপর নির্ভর করে । অতিরিক্ত পানি খান অনেকেই অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য এটা ভুল ।

সুস্থ কিডনির লক্ষণ

কিডনি আমাদের শরীরে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার কাজ করে থাকে । শরীরের অন্যান্য অঙ্গ গুলির গভীর সংযোগ রয়েছে কিডনির সঙ্গে । কোন অঙ্গই তখন ঠিকমতো কাজ করে উঠতে পারে না কিডনি বিকল হলে । নানা রকম সমস্যা হয় উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা পরিমাণ যদি খুব বেশি থাকে ।

কারণ ঠিক মত বেরুতে পারেনা শরীরের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ । মুশকিল হয়ে পড়ে বর্জ্য পদার্থ গুলো জমতে শুরু করলে । কিডনি বিষয়ে আরো যত্নশীল হওয়া উচিত যাদের সুগার প্রেসার বা অন্য কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে । নিজের অজান্তেই প্রভাব পড়ে কিডনিতে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে এইসব লক্ষণ দেখা দিলে । 

সে যে কমে যাওয়া ওজন কমতে থাকা সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি গা গলায় বা বমি বমি ভাব হয় তাহলে বুঝবেন আপনার কিডনির সমস্যা হয়েছে । চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সময় নষ্ট না করে ।

লেখকের মন্তব্য

সতর্কতা সংকেত গুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর জীবনে পথে কিডনি রোগের প্রাথমিক কারণ গুলো । প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে আমরা উদ্যোগের কোন সূচক লক্ষ্য করলে । সতর্কতা সংকেত গুলি সম্পর্কে সচেতন হয় আসুন আমরা । তবে আমাদেরকে অবশ্যই জানা দরকার কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যাথা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url