এলার্জি রোগের লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকে আমরা এলার্জি রোগের লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে  আলোচনা করব। আপনার মনে যদি এলার্জি রোগের লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার প্রয়োজন  থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি এলার্জি রোগের লক্ষন ও প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এলার্জি রোগের লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এই অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে সাধারণত এলার্জি বলা হয় । সর্দি জনিত এলার্জি বা এলার্জিক রাইনাইটিস এর উপসর্গগুলো হচ্ছে হাচি অনবরত হওয়া , নাক চুলকানো , পানি পড়া নাক দিয়ে , বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক , চোখ দিয়ে পানিও পড়ে কারো কারো এবং লাল হয়ে যায় চোখ ।

ভূমিকা

পরিষ্কার করছেন ঘরের ধুলাবালি । হঠাৎ করে হাসি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা গেল । শরীর চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা কারণ হয় আপনি ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা চিংড়ি ইলিশ গরুর মাংস বা গরুর দুধ খেলেই । একএকটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে প্রত্যেক মানুষের শরীরে । 

তখনই এলার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটে যখন কোনো কারণে এই ব্যবস্থায় গোল যোগ দেখা দেয় । প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে যেমন পর জিবি , ছত্রাক , ভাইরাস , এবং ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীর সবসময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে ।

এলার্জি কি

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ত্রুটি হল এলার্জি আমাদের শরীরের , যেখানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি বহিরাগত কোন বস্তুর অতি সক্রিয়ভাবে দেহের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার একটি প্রতিক্রিয়া হলো এলার্জি । সেই বহিরাগত বস্তুটি কিন্তু ক্ষতিকর নয় অন্যান্য মানুষের পক্ষে । শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জীবাণুর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাস্থ্যবান মানুষের ক্ষেত্রে ।
 

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি যাদের এলার্জি রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে ওঠে ক্ষতি কর নয় এমন বহিরাগত বস্তুর যাকে এলার্জি বলা হয়। তারা একাধিক বস্তুর প্রতি সংবেদনশীল যেসব মানুষদের এলার্জি আছে । একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশগত এবং জেনেটিক উভয়ই এলার্জি রোগে ।

এলার্জির কারণ

মানুষের এলার্জি হয় কিছু সাধারণ জিনিসের কারণে তা হল ব্যাববাহিত(বহন করা বাতাসের মাধ্যমে) । আমাদের চারপাশে বাস করে এবং প্রতিদিন আমাদের দেহ থেকে পড়ে থাকা লক্ষ লক্ষ মৃত ত্বকের কোষকে খায় কিছু পোকামাকড় । প্রধান কারণ ঘরের ধোলা এলার্জিক । একটি প্রধান কারণ পরাগ এলার্জির । 


অন্য উদ্ভিদকে নিষিক্ত করতে গাছ আগাছা এবং ঘাস এই ক্ষুদ্র কোণাগুলোকে বাতাসে ছেড়ে দেয় । যখন লক্ষণগুলি ঘটে পরাগের এলার্জি মৌসুমী এবং পরাগের ধরন । বাতাসে পরাগ কতটা আছে তা পরাগ গণনা পরিমাপ করে এবং ভবিষ্যতে এলার্জি সমস্যা নিয়ে কতটা ভালো অথবা খারাপ অবস্থায় থাকবে এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা । 

সাধারণত সকালে বেশি হয় পরাগের সংখ্যা সর্বনিম্ন থাকে উষ্ণ শুষ্ক বাতাসের দিনে ভেজা অবস্থায় এবং ঠান্ডায় । পশুর লালা দ্বারা এলার্জি হয়ে থাকে । পোষা পানি যখন তাদের শরীর চাটে তখন তাদের শরীরে এক প্রকারের লালা পরে । সেই লালা যখন শুকিয়ে যায় উড়ে গিয়ে মানুষের কাপড়ে পড়ে । সেই কাপড় ব্যবহার করলে এলার্জি হয় । 

একইভাবে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে পোষা প্রাণীর প্রস্রাব । প্রধান গাহস্থ এলার্জেন তেলাপোকা একটি । তেলাপোকা থেকেও এলার্জি হয়ে থাকে । প্রধান কারণ হতে পারে শিশুদের উচ্চ হাড়ের হাঁপানির ।

এলার্জির প্রকারভেদ

নানা ধরনের হতে পারে এলার্জি ।

১.ডাস্ট এলার্জিঃ যে কোন জিনিস এ যে ধুলোর আচরণ পরে থাকে সেখান থেকে এলার্জি হতে পারে যেমন ঘরের কোনা , বই পত্র , তোষক ,বালিশ , পুরনো কাপড় বা পুরনো যে কোন জিনিসে ।
.কসমেটিক এলার্জিঃ  এলার্জি হতে পারে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস থেকে যেমন শ্যাম্পু , লোশন , মেকআপ ইত্যাদি ।
৩.এগ জিমাঃ এগজিমা হতে পারে সাধারণত তখন কিছু সহ করতে না পারলে এরিটেশন বা জাস্ট থেকে ।
৪.সান এলার্জিঃ সূর্যের আলো থেকে হতে পারে সান এলার্জি ।
৫.খাবার এলার্জিঃ খাবার থেকে হতে পারে এলার্জি যেমন দুধ ডিম ময়দা ছিফুড ইত্যাদি থেকে ।
৬.এলার্জি লাটেক্সঃ প্লাস্টিক বা রাবার থেকে হতে পারে এই এলার্জি ।

এলার্জির লক্ষণ

নানান ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে এলার্জি হলে যেমন হাচি দেওয়া বারবার , সর্দি লাগতে পারে বারবার , পানি পড়া চোখ দিয়ে , চোখ লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানো , শ্বাস নিতে কষ্ট হয় , বারবার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া , ডায়রিয়া হওয়া , জ্বর হওয়া , জিহ্বা গলা শুকিয়ে যাওয়া , খুসখুস করা গলা , এছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ দেখা যায় যেমনঃ মাথা ব্যথা করা, বদ হজম হওয়া , বমি বমি ভাব লাগা , ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় ।

এলার্জির প্রতিকার

প্রতিরোধের উপায় এলার্জির যেমনঃ সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন বাড়ি , বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না ভোলা-ময়লায় সমস্যা হলে , সকালে ঘুম থেকে উঠে খুলে দিন ঘরের দরজা জানালা আলো বাতাস যাতে প্রবেশ করতে পারে ঘরের মধ্যে । শোবার ঘরে রাখবেন না বাড়িতে কোন পোষা প্রাণী থাকলে । যতই সুস্বাদু হোক না কেন যেসব খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেগুলো খাবেন না ।

এলার্জির চিকিৎসা

সম্মিলিতভাবে এলার্জির চিকিৎসা হলো;

এলার্জেন পরিহারঃ এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায় যখন এলার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করা দরকার ।

ঔষধপ্রয়োগঃ কোন ধরনের এলার্জি হয়েছে তা জানার পর এলার্জির উপশম অনেকটাই পাওয়া যায় এলার্জি খেতে ওষুধ প্রয়োগ করলে ।

এলার্জি ভ্যাকসিনঃ এলার্জির অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি এলার্জিজনিত রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া । ভ্যাকসিন ব্যবহারে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায় । উন্নত দেশগুলোতে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে এলার্জির । ভ্যাকসিন রোগীদের অনেকদিন যাবত সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা । 

একবার হলে আর সারে না এলার্জি অনেকের ধারণা ছিল আগে । যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা । একেবারে ছাড়িয়ে তোলা সম্ভব এলার্জিজনিত রোগ প্রথম দিকে ধরা পরলে ।কঠিন হয়ে পড়ে অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে এলার্জি নিরাময় করা ।

লেখকের মন্তব্য

এলার্জির কিছু সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গ যেমন লাল লাল ভাব , ব্যাথা , চুলকানি , মাথা ধরা নাক দিয়ে পানি পড়া ত্বকের ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া ইত্যাদি । আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে এলার্জির ধরন সনাক্ত করা । অতএব ডাক্তারের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরী লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বা খারাপ হলে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url