কাকে বিয়ে করব কি ভাবে সিদ্ধান্ত নেব বিস্তারিত জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকে আমরা কাকে বিয়ে করব কি ভাবে সিদ্ধান্ত নেব সে সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করব। আপনার মনে যদি কাকে বিয়ে করব কি ভাবে সিদ্ধান্ত নেব সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কাকে বিয়ে করব কি ভাবে সিদ্ধান্ত নেব সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কাকে বিয়ে করব কি ভাবে সিদ্ধান্ত নেব বিস্তারিত জেনে নিন

সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তের মধ্যে অন্যতম নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করা । স্বপ্ন দেখে থাকেন পুরুষ ও মহিলারা নিজের জীবনের এই বিশেষ দিনটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য । সারা জীবন পালন করার প্রতিজ্ঞা নেন বিবাহ একটি প্রতিশ্রুতি যার বন্ধনে পুরুষ ও মহিলারা আবদ্ধ হন । প্রতিটি পুরুষ ও মহিলার উপর জীবনসঙ্গী কেমন হবে এমনই অনেক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে ।

ভূমিকা

বিবাহ হল মহান আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল সাঃ এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত । মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম এই বিবাহ কর্মটি আদর্শ পরিবার গঠন । গুরুত্বপূর্ণ একটিবিধান বিয়ে ইসলামী শরীয়তের
পবিত্র কুরআনে আল্লাহতালা এরশাদ করেন , অন্যতম হলো আল্লাহর নির্দেশনার মধ্যে-তোমাদের জীবনসঙ্গিনী তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম প্রীতি ভালোবাসা ও দোয়া সৃষ্টি করেছেন ।(সূরা রুম আয়াত-১১)।

ইসলামে বিয়ের প্রস্তুতি

বিয়ে করা হয়ে যায় না বিয়ে করবো বললেই । ইসলামিক দৃষ্টিতে তো নাই । আল্লাহর নিকট কবুল হয়নি আপনার এমনও হতে পারে আপনি বিয়ে করলেন কিন্তু আপনার বিবাহ । তখন যেনার সম্পর্কই থেকে যাবে আপনার বিবাহিত বউয়ের সঙ্গে । সে সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে বিয়ে করার পূর্বে ইসলাম কি বলেছে কি নির্দেশনা দিয়েছে ।

মানসিকভাবে অনেক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে বিয়েটা কোন সাধারণ কিছু না তাই এটার জন্য । তার প্রতি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং ভাবতে হবে যে সে যেই মেয়েকে বিয়ে করে আনবে সেই মেয়ে তার জন্য পরিবার ছেড়ে আসবে । জানতে হবে শ্বশুর শাশুড়ির যে অধিকার ও মর্যাদা রয়েছে । যে ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে বিয়ের আগে ইসলামে তা আলোচনা করব ।

বিয়ের নিয়ম কানুন

বিয়ে সামাজিক বন্ধন ও শুধুমাত্র দুটি মানুষের মিলন নয় । নতুন দুটি মানুষের একসাথে পথযাত্রা বিয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় । বিয়েতে দেশের কিছু আইন ও মানতে হয় যেমন বর কনে ও পরিবারের মতামতের প্রয়োজন হয় । জেনে নিন আইনগুলোঃ
  • উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং কনের ১৮ বছর হতে হবে বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত ।
  • যা বেআইনি এই বয়সের কম হলে বাল্য বিয়ে বলে ধরা হবে ।
  • অন্য পক্ষকে তা গ্রহণ করতে হবে এক কক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দিলে ।
  • দুজন সাক্ষী থাকতে হবে বিয়েতে ।
  • পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত কবুল শব্দটি স্পষ্ট হতে হবে এবং উভয়ে কোনরকম চাপ বা প্ররোচনা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে বিয়ের সময় ।
  • বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে একই বৈঠকে ।
  • কোন ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয় মুসলিম আইনে কোন পক্ষেরই বিয়ের জন্য ।
  • স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের সত্যগুলো থাকবে কাবিননামায় ।
  • তালাকের এর অধিকার উল্লেখ রাখা স্বামী-স্ত্রীর উভয় কে ।
  • দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে পত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা এবং আর্থিক সংগতি বিবেচনা করে ।
  • রেজিস্ট্রেশন হল বিয়ের প্রমাণ কাগজ-কলমে লিখে রাখা । যা কাজী অফিসে সংরক্ষিত থাকে এটি সরকার কীর্তন নির্ধারিত ফর্মে লিখিত বিয়ে সংক্রান্ত দলিল।

বিয়ের আগে করনীয়

বেশ কিছু করণীয় রয়েছে বিয়ের আগে ছেলে ও মেয়ের উভয়েরি । সেসব করণীয় সম্পর্কেই জানানো হবে আজকে আপনাদের । প্রথম কাজ হচ্ছে দোয়া করা বিয়ের পূর্বে ছেলে অথবা মেয়ের । ভালো জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য দোয়া করা প্রতিদিন নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে ।

দ্বীনদার ছেলে অথবা মেয়েকে খুঁজে বের করে নেওয়া পরবর্তী করণীয় । মেয়ের বাবার বা ছেলের বাবার অবস্থা , টাকা-পয়সা , ছেলের চাকরি আছে কিনা ইত্যাদি আমরা বর্তমানে বিয়ের জন্য যেটা দেখি । কিন্তু মেয়ে দ্বীনদার কিনা দেখতে হবে তা ।
যে অধিকার সেটা জানতে হবে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি । সকল ধরনের দায়িত্ব পালন করবে , খাদ্য , বস্ত্র ইত্যাদি সব স্বামী স্ত্রীর । আর অনুগত হয়ে থাকবে স্ত্রী স্বামীর । ঘরের কাজ জেনে রাখতে হবে স্ত্রীর পূর্বেই । যেমন রান্নাবান্না সহ দৈনন্দিন সকল ধরনের কাজ ।

অবশ্যই হালাল রোজগারের পন্থা আগে থেকেই বের করে রাখতে হবে স্বামীকে । যার দ্বারা তালাক হয়ে যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যখন ঝগড়া লাগবে তখন এমন কথা যেন না বলে । তাই জেনে রাখতে হবে তালাক সংক্রান্ত মাসালা ।

কাকে বিয়ে করবো কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব

অনেক যুবক যুবতীরা দুশ্চিন্তা করে থাকেন এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন কাকে বিয়ে করবো কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব এই নিয়ে । একটি সুন্দর পরামর্শ প্রদান করা হবে আজকে আপনাদের এই বিষয়ে । কখন বিয়ে করবেন এই সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দেই।

ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর আমাদের দেশে বিয়ের নিয়ম । কেউ বিয়ে করে না তবে আমাদের দেশে এরকম বয়সে । প্রায় বিয়ে করতে ২৮ থেকে ৩০ বছর লেগে যায় বর্তমানে ছেলেদের । অল্প বয়সেই বিয়ে হয় মেয়েদের অবশ্য এখনো ।

অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেলুন , বিয়ে করলে জীবন থেমে যায় না বরং নতুন গতি পায় কখন বিয়ে করবেন সেই কথাই যদি আসা যায় । রক্ষা পাওয়া যাবে বর্তমান যুগের ফিতনা ফাসাদ থেকে ।পাপ কম হবে পাক জীবনের । বিয়ের পূর্বে অবশ্যই পরিবারের সাথে আলোচনা করবেন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নিবেন ।

বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেবে পাত্র-পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে দ্বীনদার কিনা সে দিকে লক্ষ্য রেখে । সঠিক বয়সে বিয়ে করাই ভালো তা না হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ।

কথা বলা বিয়ের আগে পাত্রীর সাথে

একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিয়ের আগে পাত্রীর সাথে কথা বলা । কেননা আপনি তার মুখে জানা প্রয়োজন যাকে বিয়ে করবেন তার সম্পর্কে । অবশ্যই তার মুখ থেকে আপনি জেনে নেবেন আপনি যাকে বিয়ে করবেন সে আপনাকে পছন্দ করছে কিনা ।

তার কেমন পছন্দ-অপছন্দ সেও আপনাকে বলবে আপনার পছন্দ অপছন্দের কথা আপনি বলবেন । বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন কিভাবে নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া হয়ে গেলে ।

স্বামী স্ত্রী কি করে বিয়ের পর

জীবন শুরু করে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মতো করে । যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করে স্ত্রীর প্রতি স্বামী যে অধিকার দায়িত্ব-কর্তব্য সেগুলো তেমনি ভাবে আবার স্বামীর উপর যেসব দায়িত্ব-কর্তব্য অধিকার রয়েছে সেগুলো সে ভালোভাবে পালনও আদায় করার চেষ্টা করবে ।

বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রী নিজেদের সংসার জীবন শুরু করে এভাবেই ।

সন্তান

এমন নয় বিয়ে মানেই সন্তানের পরিকল্পনা থাকতে হবে । কিন্তু সন্তানের প্রসঙ্গ উঠে বৈবাহিক সম্পর্কে । আলোচনা প্রয়োজন আছে কে ঠিক কিভাবে নেবেন বিষয়টি । সংসার সাজানোর ভাবনা এক একজনের এক এক রকম হয় । আপনারা ভেবে চিন্তে যখন প্রয়োজন তখন সন্তান নেবেন । তবে আগে সন্তান নেওয়াই ভালো ।

যৌনতা

যৌনতা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । অনেকটাই নির্ভর করে যৌনতার উপরে বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন থাকবে । হবু সঙ্গী কতটা গুরুত্ব দেন যৌনতাকে বিয়ের আগে জানতে চাওয়া যেতেই পারে । আপনার সঙ্গে কথা বলতে তার অস্বস্তি হচ্ছে কিনা যৌন সম্পর্ক নিয়ে তাও আপনি জানতে পারবেন বা বুঝতে পারবেন ।

আমাদের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় কাকে বিয়ে করবো কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব তা জানতে পেরেছেন আজকের আর্টিকেলটি পরে । এছাড়া আরো জানতে পেরেছে বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে এবং বিয়ের আগে পাত্রীর সাথে কথা বলা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে । অনেক উপকারে আসবে আশা করি এই তথ্যগুলি ।









































































































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url