বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ জানুন

প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা সবাই কেমন আছেন। আজকে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ জানুন। কুকুরের জলাতঙ্ক মত বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় এবং এটি অনেক ভয়ঙ্কর  এবংপরিচিত রোগ। 
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ  জানুন
একটি ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী রোগ। বিশেষ করে জলাতঙ্ক এই রোগের ভাইরাস শেয়াল, রেকুন, ও ইদুর বহন করে থাকে। সাধারণত এই প্রাণীগুলোর কামড়ে বা আঁচড়ের মাধ্যমে  এই রোগ ছড়িয়ে থাকে বিড়ালের মধ্যে।

ভূমিকা

নিচের আলোচনার মাধ্যমে বিড়ালের জ্বালাতন রোগের লক্ষণ জানুন। বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ আলোচনা করতে গিয়ে ভূমিকায় প্রথমে বলা যায়, বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগ হল একটি জ্বরের ধরন, যা ফেলিন ক্যালিসি ভাইরাসের কারণ হতে পারে। এই রোগের লক্ষণ গুলি ভাইরাসের নিকটস্থতার স্ত্রী বিড়ালের মধ্যে প্রসারিত হয়। 

যারা সাধারণত জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নাকের ব্যথা, বমি, ও পেটের সমস্যা সহ অন্যান্য লক্ষণগুলি সহজে প্রকাশ করে। এই রোগের বিষয়ে সেরা পরামর্শ হল জনসচেতনতা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেহেতু এটি একটি সাধারণ রোগ, তাই স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ভেটেনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ বলতে বোঝায় প্রথমদিকে অনির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন জ্বর, ক্ষুধামন্দা, কামড়ানোর স্থানে অন্যরকম কিছু অনুভূতি পরিবর্তন হতে পারে যেমন চিনচিন, ঝিনঝিন ইত্যাদি পরিলক্ষিত হয়। কিছুদিন পর থেকে ঘুমের ভাব, কনফিউশন, অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা হতে পারে, লালারসের ক্ষরণ বৃদ্ধি, প্রভূতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

বিড়ালের আঁচরে কি রোগ হয়

এটাকে বলে ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ। জ্বর আসা, ফোসকা পড়া, পিট বা পেট ব্যাথার মত লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আপনাকে জে বিড়াল কামড়িয়েছে সেটি র‌্যাবিশে আক্রান্ত কিনা, বোঝার জন্য কতগুলো লক্ষণ আছে। সে ক্ষেত্রে বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন আসবে, আগ্রাসী বা রাগান্বিত হয়ে উঠবে। বিড়ালের আচরে একটি সাধারণ রোগ হল “টোক্জোপ্লাজমোসিস” বা“টোক্জোপ্লাজমোসিস”।

এটি প্রধানত প্রাণীর কোষে আক্রমণের ফলে হয় এবং বিড়ালের মাধ্যমে মানুষের ছড়ায়। মানুষ এটি সাধারণত কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে গর্ভবতী মা বা ক্রিয়াশীল মানুষের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটির লক্ষণ গুলি ব্যক্তির ক্ষমতা অতিক্রম করতে পারে, তবে অধিকাংশ মানুষের কোন লক্ষণ হয় না। যদিও এই রোগের প্রতিরোধ বা চিকিৎসা এখনো সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ নয়।

বাচ্চা বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়

বাচ্চা বিড়ালের জন্য কোন ভেকসিন উপলব্ধ নেই। বিড়ালের যত্ন নেওয়ার জন্য সাধারণত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য যত্ন নেওয়া হয়। তবে, বিড়ালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত, যেমন নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন প্রদান, পুজির সাথে অনুমোদিত ভিত্তিতে এবং প্রতি বছর প্রায় নির্ধারিত হাসপাতালে চেকআপ করা। তবে বিড়াল যদি কামড় দেয় আর কামড় যদি গভীর হয় বা যদি রক্ত বের হয় তবে, ক্ষতস্থানের পাশে রেইবীজ ইমিউন গ্লবিউলিন আর আইজি ভ্যাকসিন দিতে হয়।

বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়

বিড়ালের কামড়র বা আঁচরের ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানের গভীরতা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। আঁচরের ফলে যদি রক্তপাত হয়, তাহলে রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ ঘটে। সে ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের দরকার হতে পারে। বিড়াল কামড় দিলে বা আঁচড় দিলে কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নানাভাবে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়েছেন।

বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক

ভাইরাসে আক্রান্ত বিড়ালটি যদি নখ দ্বারা আঁচড় দিয়ে থাকে তাহলে সেই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করা সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাময়ের জন্য টিকা দিতে হবে। টিকা না দিলে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আঁচড় দেওয়ার স্থানটি ভালোভাবে ডিটারজেন্ট অথবা সাবান এবং providone iodine দিয়ে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধরে পরিষ্কার করুন ।

বিড়াল কামড় দিলে কি ক্ষতি হয়

বিড়াল কামড়ালে বা আঁচড় দিলে সে ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে গভীরতা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আঁচড় দেওয়ার কারণে ক্ষতস্থান দিয়ে রক্তপাত হয়, সেক্ষেত্রে রক্তের সাথে জীবাণুর সংঘর্ষ ঘটে থাকে, সেক্ষেত্রে টিকা নেওয়া এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের দরকার হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন বিড়াল কামড় বা আঁচড় দিলে কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

শেষ কথা

আর্টিকেল লেখার শেষে আমরা বলতে পারি উপরে আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ সম্পর্কে। তাই এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়া উচিত। বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে প্রিয় পাঠক উপরের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url