ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এই সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। আপনার যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এই সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বিশেষজ্ঞরা কিছু টিপস মেনে চলা পরামর্শ দেন ত্বক ভালো রাখার জন্য । তাই বলে পার্লারে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই । আবার দামী দামী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে এমনটি নয় । বাড়িতে বসেই ত্বকের যত্ন নিতে পারলে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরতে পারে ।

সবচেয়ে বেশি সমাদিত রূপচর্চায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি । ক্ষতিকারক দিক নেই তাতে । আগে থেকেই জেনে থাকতে হবে কোন ত্বকে কেমন যত্ন প্রয়োজন । নিজের যত্ন নিতে হবে প্রতিদিন একটুখানি সময় কাজের ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে । বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে যত্ন নেওয়া । যেমনঃ মেসেজ ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং , টোনিং , এবং ময়েশ্চারাইজিং গুরুত্বপূর্ণ ।

দিনে দুইবার মুখ পরিষ্কার করুন এবং বিশেষজ্ঞদের মতে প্রয়োজন নিয়মিত মুখ ক্লিন জিং করা । ত্বক ভালো রাখতে দিনে অন্তত দুইবার মুখ ধোয়ার প্রয়োজন । রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর একবার । 

আপনি যেসব ওয়েল ক্রিম প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করেছেন সে সময় ক্রিম পরিষ্কার করা প্রয়োজন। সারাদিন মুখে ধুলাবালি ময়লা জমা হতে থাকে তা অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে ।

আপনার ত্বকে যদি মেকআপ থাকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন । অনায়াসে ত্বকে জমে থাকা বিভিন্ন ধুলাবালি যাতে বেরিয়ে যেতে পারে । এতে ত্বক স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ও সুস্থ থাকতে সুবিধা পায় । ভালো রাখার জন্য জলের কোন বিকল্প নেই । গরম জলের ভাপ ত্বকের জন্য উপকারী নয় । এজন্য ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে হবে।

গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ভালো থাকবে অনেকে মনে করেন । কিন্তু গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে । প্রাকৃতিক আর্দ্রতা চলে যায় ত্বকের । রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে ত্বক । এতে ত্বকের ক্ষতি হয় । তাই ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে হবে।

পার্লারে যেতে হয় না মুখ মেসাজ করার জন্য । নিয়মিত বাড়িতেই মেসেজ করতে পারেন আপনি । মালিশ করলে বা মেসেজ করলে মুখের উজ্জ্বলতা দেখার মত হয়। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় মুখে মেসেজ করলে । অক্সিজেন পৌঁছে যায় ত্বকের প্রতিটি কোষে পরিমাণ মতো । উজ্জ্বলতা বাড়ে ত্বকের ।

আপনি মেসেজ করতে পারেন রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখ ক্লিন জিং করার পরে । মুখ মেসেজ করুন অ্যালোভেরা জেলের সাহায্যে । ফেস ম্যাসাজ করতে পারেন তালুর সাহায্যে চাপ দিয়ে । জেড রোলার এর সাহায্য নিও করতে পারেন মেসাজ আপনি । এতে ত্বক ভালো থাকে ।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান পানি খাওয়ার  প্রয়োজন ত্বক ভালো রাখার জন্য । কেন খেতে হবে ত্বক ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি? বিউটি টিপস যেমন ত্বকের জন্য দরকার তেমনি ডায়েটের দিকে নজর দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা । ত্বকের উপর প্রভাব পড়ে যেমন অস্বাস্থ্যকর খাবারখাওয়া। স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে ।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতিতে কয়েকটি টিপস রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি নিচে আলোচনা করা হলোঃ

১.হলুদ গুঁড়া
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হলুদের কোন বিকল্প নেই । হলুদ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে । হলুদ দিয়ে ঘরে বসে করতে পারেন ত্বকের যত্ন । এক চামচ লেবুর রস তার সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট করে নিন । হাতে পায়ে এবং ত্বকে লাগিয়ে নিন পেস্ট টি। 

এছাড়া ত্বকের দাগ যুক্ত স্থানে লাগিয়ে নিন ।৩০ মিনিট পরে ঘষে তুলুন লেবুর রস দিয়ে আলতোভাবে ঘষে তুলুন । ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । হলুদ ত্বকের কালো দাগ ও দূর করে । হাত পায়ের কালো দাগ দূর করবে হলুদ টানটান করে তুলবে ত্বক ।

২.অ্যালোভেরা জেলি
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের কোন জুড়ি নেই । এই প্রাকৃতিক উপাদান রূপচর্চার অন্যতম সেরা । সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ত্বককে কালো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এলোভেরা জেল । টবে লাগিয়ে বা বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যায় অ্যালোভেরা জেল । অ্যালোভেরা জেলের স্টিক নিয়ে কাটা চামচের সাহায্য উপরের সবুজ অংশ কেটে ফেলে দেন । 

ভেতর থেকে বের করে নিন অ্যালোভেরা জেল । হাত পা মুখে ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত ব্যবহারে আপনি পাবেন মসরিন টানটান ত্বক ।

৩.লেবুর রস
ত্বকের দাগ সারাতে অ্যালোভেরার মত প্রাকৃতিক উপাদান লেবুর রস ও কার্যকরী । লেবুর রস বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায় বাইরে থেকে এসে হাত পা মো ধুয়ে নিন ভালো ভাবে । খোসা সহ একটি লেবু কেটে আলতো করে ঘষে নিন হাত পাও মুখে । 

ধুয়ে নিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে । এছাড়া এক চামচ চিনির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে হাত পায়ে আঙ্গুলের ভাজে কালো হয়ে যাওয়ার স্থানে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন । এটি ন্যাচারাল স্কাব হিসাবে কাজ করবে হাত ও পায়ের । 

এক চামচ মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন । কালো হওয়া স্থানে পেস্ট টি মাখিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এতে আপনার ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাবেন ।

৪.চিনি ও অলিভ অয়েল
সবার ঘরেই থাকে চিনি ও অলিভ অয়েল । অলিভ অয়েল ও চিনি মিশনে ত্বকের দাগ দূর করতে কার্যকরী । অলিভ অয়েল ও চিনি মিশ্রণটি আধা ঘন্টা ত্বকে রাখুন এরপর গোসল করে নিন । এভাবে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন । এতে আপনার তো সুন্দর ও মসৃণ হতে সাহায্য করবে ।

৫.চালের গুড়া ও তরমুজের রস
চালের গুড়া ও তরমুজের রস এর মিশ্রণ ব্যবহার করে ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । তরমুজের সময় হলো গ্রীষ্মকাল এই সময়ে রৌদ্র বেশি থাকে । তাইএই সময় ত্বকে কালো দাগ পরে । তাই কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে হলে কয়েক টুকরো তরমুজ ব্লেন্ডার করে হাতে চালের গুড়া মিশে নিন । 

তারপর মেশানো পেস্ট শরীরে লাগিয়ে নিন । পেস্ট মাখিয়ে বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর গোসল করে ধুয়ে ফেলুন । কয়েকদিন ব্যবহার করলে এর উপকারিতা পাবেন ।

আজকে এই পর্যন্তই শেষ করলাম । প্রিয় পাঠক আরো কিছু জানার জন্য আমাদের সাথে থাকুন । উপরের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন।