খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালই আছেন। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আজকের এই পোস্টে আমি খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক মানুষের জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা রয়েছে। খেলাধুলা প্রত্যেক মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়।
খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা জেনে নিন
মনের সহনশীলতা বাড়ায় এবং দৈহিক পরিশ্রমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মানুষের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাঁতার উত্তম একটি খেলা। শরীরের মেদ চর্বি কমিয়ে শরীরকে সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারী বানাতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। আবার খেলাধুলা আপনার চরিত্র গঠনের সহায়তা করবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা জেনে নিন

ভূমিকাঃ খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা জেনে নিন

চিরন্তন খেলাধুলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ থাকবে। খেলাধুলা মানুষের মনের আনন্দ এবং শারীরিক গঠনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সুন্দর ও সুস্থ জীবন গঠনের খেলাধুলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, এমন কি জাতীয় জীবনের সফলতা লাভের পেছনে কাজ করে সুস্থ ও সুঠাম দেহ। আর এই সুস্থ ও সুঠামদেহ গঠনের জন্য খেলাধুলা অপরিহার্য।

শিশুদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা

আগের দিনে শিশুদের শৈশব শুরু হতো বা গড়ে উঠতো এলাকার এবং আশেপাশের পাড়ার অনেক সঙ্গীদের সাথে। বিকেল হলেই যেন এলাকার মাঠ মেতে উঠতো হৈ-হুল্লোড়ে। কিন্তু বর্তমান যুগে সেই আনন্দময় শৈশব হারিয়ে গেছে, তার পাশাপাশি হারিয়ে গেছে খেলাধুলাও। ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি নির্ভর খেলাধুলায় নির্ভর হয়ে পড়ছে শিশুরা। তবে এই প্রযুক্তি নির্ভর খেলাধুলা শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকারী নয়। 
সব সময় যদি বাসায় বসে থেকে মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটারে গেম খেলায় শারীরিক কোন উন্নতি হতে পারে না। বরং এর ফলে মানসিক সহ শরীরের নানান নেতিবাচক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সকল দিক কাটিয়ে উঠার জন্য শিশুদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলাধুলা শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক। খেলাধুলা করার জন্য শিশুরা যে আনন্দ উপভোগ করে থাকে এটা তাদের বিকাশের জন্য পরিপূর্ণ সহায়ক। 

এখনকার পরিবেশের উপর চিন্তা করে খেলাধুলার জন্য বড় মাঠের প্রয়োজন নেই। বাসার সামনে অল্প জায়গা হলেই খেলাধুলা বা শারীরিক কার্যক্রম করা যায়। যেমন-দৌড়াদৌড়ি, দড়ি লাভ, হাঁটাহাঁটি ইত্যাদি কার্যক্রম করা যায়। তাই আমাদের মনে রাখা দরকার শিশুদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খেলাধুলার উপকারিতা

খেলাধুলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরকে ফিট রাখা যায়। রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করানো যায়। খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের সুস্থতা ও দৈহিক গঠন ঠিক রাখা যায়। তাই খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা তার পাশাপাশি কিছু খেলাধুলার উপকারিতা রয়েছে। 

যেমন-টিমওয়ার্ক শিখতে সাহায্য করে, সেলফ এসটিমে সহায়তা করে, মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে, শরীরকে সুস্থ রাখে এবং শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে, খেলাধুলা করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, সময় কাটানোর আদর্শ উপায় হচ্ছে খেলাধুলা করা এটা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।

ছাত্রজীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা

ছাত্রদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে পড়াশোনা করা। পড়াশোনাকে তপস্যা মনে করে করা দরকার। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা বা শরীরচর্চার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। তাই ছাত্রজীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ দুর্বল শরীরে পড়াশুনা ভালো হয় না। এজন্য শরীরকে ঠিক রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত খেলাধুলা করা উচিত। ফুটবল এমন একটি খেলা যা নিয়মিত খেললে মন ও শরীরকে সতেজ রাখে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে একথা আমাদেরকে স্বীকার করতেই হবে। 

খেলাধুলা আমাদের জীবনের অঙ্গ। তাই আমাদের জীবন থেকে খেলাধুলাকে যদি বর্জন করি তাহলে আমাদের জীবন অসার ও নিরাশ হয়ে পড়বে। তখন আমাদের মনের উৎসাহ, উদ্যাম ও প্রাণচাঞ্চল্য হারিয়ে মানুষ জীবনিশক্তিহীন, নিস্তেজ ও জড়বস্তু হয়ে পড়বে। খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের দেহ ও মন উভয় উজ্জীবিত হয়। শৈশবকালে শিশুরা যে খেলার মধ্যে লিপ্ত থাকে তা তার দেহকে দূঢ় ও মজবুত করে । 

শিশুকালে ও যৌবনকালে সাধারণত মানুষ শরীরচর্চার মাধ্যমে দেহকে গঠন করে থাকে। শরীরচর্চার মতো খেলাধুলাও দেহ গঠনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এজন্য খেলাধুলা কে জীবনের অঙ্গের সাথে তুলনা করা হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে জীবনের সাফল্য এবং অসফল্য জয় ও পরাজয় উভয়কে সামনে ভেবে গ্রহণ করার মত মহৎ শিক্ষা অর্জন করি এই খেলাধুলা থেকে। শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ হচ্ছে খেলাধুলা। 

শিক্ষার্থীদের দেহমন উভয় উপযুক্ত ও সুন্দররূপে গঠিত হতে পারে শুধুমাত্র খেলাধুলার মাধ্যমে। তাই ছাত্রজীবনের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা বলতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা অপরিহার্য। পক্ষান্তরে বলা যেতে পারে যে ছাত্র সর্বসময় পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে, কিন্তু কোন রকম সে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে না, সেই ছাত্র কখনোই সুস্থ বা মেধাবী হতে পারে না।

মেধা বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব

শিশুরা ফুলের মত সুন্দর এটাই স্বাভাবিক। শিশুরা তাদের কৈশোর জীবনে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বাঁচবে এটাই তাদের জন্মগত অধিকার। শিশুরা জন্ম নেওয়ার পর মুক্ত হাওয়ায় চলাফেরা করবে ,শ্বাস প্রশ্বাস নিবে এটাই তো স্বাভাবিক। তাই ইংরেজিতে একটি কথা বলা যায় অল ফর চাইল্ড, চাইল্ড ফর অল। আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তারাই দেশ গঠনের কর্ণধার। তাই শিশুদেরকে ভালোভাবে গড়ে তোলার জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়া আমাদের দরকার। 

তাই মেধা বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর চর্চা বা দেহ গঠনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এজন্য খেলাধুলা কে দেহের একটি অঙ্গ বলা চলে। শিশু কিশোররা খেলাধুলার মাধ্যমে সাফল্য ও অসাফল্য জয় পরাজয় সকল কিছু শিক্ষা এর মাধ্যমেই অর্জন করে। একজন শিক্ষার্থীর দেহ মন সুন্দররূপে উভয় উপযুক্ত ভাবে গঠিত হতে পারে শুধুমাত্র খেলাধুলার মাধ্যমে। তাই মেধা বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা অপরিহার্য।

ফুটবল খেলার প্রয়োজনীয়তা

ফুটবল এমন একটি খেলা যা নিয়মিত খেলার ফলে মানুষের শরীরের ওজন সঠিক সীমার মধ্যে থাকে। যাদের দেহের ওজন অতিরিক্ত হয়ে আছে তারা নিয়মিত ফুটবল খেলার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। অত্যাধুনিক যেগুলো ব্যায়াম আছে যেমন সাধারণ জিম বা ওয়ার্ক আউটের চেয়ে ফুটবল খেলার মাধ্যমে বেশি ফ্যাট বার্ন করানো যায়। ফুটবল খেলার শুট ট্যাকলিং এর জন্য শরীরের নিম্নভাগে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

তাই ফুটবল খেলার মাধ্যমে ব্যায়াম না করে শরীর ফিট রাখা যায়। কিন্তু মানুষের শরীর ও মনকে সুস্থ সচল রাখার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষ তার শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই পাশাপাশি মানসিক প্রফুল্লতার বিকাশ ঘটেছে। খেলার মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলো ফুটবল খেলা। 

প্রফেশনাল ফুটবল খেলার বাহিরে ছেলে বুড়ো সবাই এ খেলা খেলে থাকে। ফুটবল খেলার মাধ্যমে মানুষের দেহের শারীরিক ও মানসিক উপকার সাধিত হয়ে থাকে।মানব দেহের জন্য ফুটবল খেলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

লেখকের মন্তব্য

এই আর্টিকেলের শেষ অংশে আমরা বলতে পারি খেলাধুলা মানব দেহের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি মাধ্যম। এই খেলাধুলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরকাল থাকবেই। খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের মনের আনন্দ ও শরীর গঠনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা বলতে পারি শিশু-কিশোরদের বেড়ে ওঠার পাশাপাশি খেলার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই উপরের আলোকপাতের প্রেক্ষিতে আমরা খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। লেখার ভিতর কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। লেখা যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url