সিজারের পর কোমর ব্যাথার কারণ ও করণীয় জানুন

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম। সিজার করার পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলের ভিতরে জানতে পারবেন সিজার করার পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে। আপনার যদি পিছনে ব্যাথা হয়ে থাকে প্রথমে কোন ব্যাথার ঔষধ খাবেন না।
সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয় জানুন
কোনরকম পেইন কিলার না খেয়ে অলিভ অয়েল এর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে আপনার কোমরে মালিশ করতে পারেন। এছাড়া তিলের তেল অথবা সর্ষের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয় জানুন

ভূমিকাঃ সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয় জানুন

আজকাল ব্যাক পেইন শব্দটি অধিকাংশ লোকের মুখেই শুনতে পায়। সাধারণত ব্যাকপেইন বা পিট ব্যথা পিঠের নিচের পেশী ব্যথা, লিগামেন্ট,মেরুদন্ড, কশেরুকার সমস্যার কারণে ব্যথা হয়ে থাকে। পিঠে ব্যথার প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে পিটের পেশিতে চাপ পড়া এবং কাঠামো গত সমস্যা হওয়ার কারণে ব্যথা হতে পারে। আমরা এই আর্টিকেলে সিজারের পর কোমর ব্যাথার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানব।

ব্যাক পেইন এর ব্যায়াম

কমবেশি সবারই মাজার বা কোমরের ব্যথা অর্থাৎ ব্যাক পেইন হতে পারে। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্যের কারণে এ সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি অফিসে একটানা চেয়ারে বসে থাকেন বা দূরে কোথাও বেড়াতে গেলেন সেক্ষেত্রেও হতে পারে। এই সমস্যার জন্য আপনি যদি শুধু ঔষধ খান তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। ওষুধের পাশাপাশি আপনাকে ব্যাক পেইনের ব্যায়াম করতে হবে। ব্যাক পেইন সাধারণত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। 
আমরা সাধারণত মেরুদন্ড বা স্পাইন-সম্পর্কিত ব্যথাকে আমরা ব্যাকপেইন বলে থাকি। হারজোড়, পেশি, স্নায়ু ইত্যাদি কারণেও ব্যাক পেইন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাড়জোড়, মেরুদণ্ড, স্নায়ু, পেশি ইত্যাদি যদি সঠিক অবস্থানে কাজ সঠিকভাবে করতে না পারে তাহলে ব্যাথা হতে পারে। ব্যাক পেইন এর ব্যায়াম করার নিয়ম-
  • প্রথমে আপনি দুই হাত রেখে দরজার পাল্লায় দাঁড়ান। এরপর আস্তে আস্তে সামনের দিকে এক পায়ের হাঁটু ভাঁজ করুন যতক্ষণ না কাঁধের পেশিতে টান পড়ছে। এভাবে আপনাকে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। পরে অন্য পায়ে করুন। এভাবে তিন থেকে চারবার করতে হবে।
  • তারপর আপনাকে দেয়ালে হাত রেখে দাঁড়াতে হবে। এক পা পিছিয়ে রেখে দাঁড়ান। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সামনের পায়ের হাঁটু ভাঙবে কিন্তু পেছনের পা সোজা করে রাখতে হবে। এভাবে আপনাকে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। এক পা হয়ে গেলে আরেক পা করুন। এভাবে তিন থেকে চারবার করতে থাকেন।
  • আপনি যখন ব্যায়াম করতে থাকবেন প্রতি ব্যায়াম করার সময় পাঁচ থেকে ছয় বার গভীর শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন।। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে শরীরে কোথাও যেন খুব একটা চাপ না লাগে। সকালের ব্যায়াম করাটা সবচেয়ে বেশি উত্তম। যদি সময় না পান তাহলে দিনের যেকোনো সময় আপনি করতে পারেন।
  • তবে আপনার ব্যfথা যদি দীর্ঘদিন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।

পিঠে ব্যথা হলে করণীয়

কোমর বা পিটের ব্যাথা প্রতিরোধের জন্য জরুরী হলো পিঠের উপর থেকে চাপ কমাতে হবে। আপনার চলাফেরা কাজকর্মের সময় আপনার দেহভঙ্গির দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কিছু কাজ আছে সেগুলোকে যদি আপনার প্রতিদিনের চলাফেরার সাথে অভ্যাস করে নিতে পারেন তাহলে আপনার পিঠের ব্যাথা, কোমরের ব্যাথা বা ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তাহলে জেনে নেই পিঠে ব্যাথা হলে করণীয় এমন নয়টি অভ্যাস সম্পর্কে -১.কম ওজন বহন করা, ২. ব্যায়াম করা, ৩. সোজা হয়ে থাকা, ৪ টেবিলের উপর ঝুঁকে না পরা, ৫. মাঝে নড়েচড়ে বসুন ,উঠুন, ৬. জুতা বদলাতে হবে , ৭ আপনাকে ক্যালসিয়ামের পরিমান এবং ভিটামিন ডি খাওয়ার   পরিমাণ বাড়াতে হবে, ৮. সিগারেট বাদ দিতে হবে, ৯. ঘুমানোর সময় হাটুর নিচে বালিশ দিন।

পিঠের বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়

পিঠের বাম পাশে হঠাৎ ব্যাথা হয় কেন? ব্যাথা হওয়ার কারণ মেরুদন্ডের চাপ স্নায়ুতে  পড়ে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যথা হতে পারে হার্নিয়েটেড ডিস্ক যদি এই ডিস্ক কশেরুখা থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে পিঠের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। ডিস্ক বেরিয়ে পড়ার কারণে স্নায়ুতে চাপ দিলে বা কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা, শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। 

এবং এটার জন্য অল্প থেকে প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা হতে পারে। পিঠের বাম পাশে ব্যাথা হলে করণীয়। আপনাকে প্রথমে একটি কাঠের চেয়ারে বসতে হবে। তারপর আপনার বাম হাতটি মাথার উপরে রাখুন মেয়েরা ঠিক যেখানে খোপা করে। আপনার ডান হাত দিয়ে চেয়ারটি ভালোভাবে ধরে রাখুন যেন হাত উপরে না উঠে। আপনার চোয়ালটি ডানদিক ঘুরাতে থাকুন। 

কয়েক সপ্তাহ এই ব্যায়ামটি করতে থাকুন। এভাবে ব্যায়াম করার ফলে পিঠের বাম পাশের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই ভালোভাবে অবগত থাকতে হবে।

ব্যাক পেইন এর ওষুধ

আপনার ব্যাক পেইন যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পেইন কিলার খেতে হবে। তবে পেইনকিলার হিসাবে ক্লোফেনাক ধরনের ঔষধ বেশি সেবন করা ভালো না। এইসব ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে এন্টিআলসারেন্ট বা অ্যান্টাসিড খেয়ে নিতে হবে । যদি আপনার ব্যাক পেইন বেশি আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় এই আর্টিকেলের আলোচনা থেকে আমরা সিজারের পর কোমর ব্যাথার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। কমবেশি আমরা সবাই ব্যাক পেইন অর্থাৎ কোমর বা মাজার ব্যথায় ভোগে থাকি। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাবে অবশ্যই জানতে পেরেছেন কিভাবে ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url