ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে আজকে এই আর্টিকেলে ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম রয়েছে । তা এই আর্টিকেলের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো ।

ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম  জেনে নিন

ফুটবল খেলা আর ফুটবল খেলা বলে আমরা সারাদিন মেতে থাকলেও আমরা বিশেষ করে অনেকেই এই মজার ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম কলা- কৌশল ,ইতিহাস, আইন কানুন কিছুই জানিনা। তাই আমাদের ফুটবল খেলার সঠিকভাবে বুঝতে হলে বা ভালো ফুটবল খেলোয়াড় হতে চাইলে, খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আমাদের জানা থাকা অতি জরুরী।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম জেনে নিন

ভূমিকাঃ ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম জেনে নিন

আজকে এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। একজন ভালো খেলোয়াড় হতে হলে অবশ্যই তাকে ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। খেলার মধ্যে একটি গোল তখনই হবে যখন বলটি কোন দলের গোল পোস্ট ও ক্রসবারের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করবে। এভাবে পুরো বলটি কে গোল পোস্ট পার করতে হবে।
কোন কারনে যদি বল গোল লাইনের দাগের উপর থাকে তাহলে সেটি গোল বলে গণ্য হবে না। এক্ষেত্রে রেফারী বল গোল লাইন পুরোপুরি পার না হওয়ার আগেই রেফারি যদি বাঁশিতে ফু দেয় তাহলে খেলা আবার ড্রপড বলে মাধ্যমে শুরু করা হবে। আমরা এখন নিচে ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।

বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম

ফুটবল খেলার বিধিবদ্ধ নিয়ম রয়েছে। নিয়মাবলির মধ্যে একটি দলে কতজন খেলোয়াড় থাকবে, খেলার সময়সীমা কতটুকু হবে, মাঠ এবং বলের আকার কেমন হবে, ফাউলের ধরন বুঝে প্রকৃতভাবে রেফারিরা শাস্তি দিতে পারে তার ধরন, বারবার ভুল ধরা এবং অফসাইড আইন অন্যান্য অনেক আইন উল্লেখ করা হয়েছে যা এই খেলাটিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে থাকে। খেলার ম্যাচ চলাকালীন সময় খেলার আইন গুলি ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োগ করাই হচ্ছে রেফারির কাজ। 

উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ফুটবল খেলার নিয়মগুলোকে বিধিবদ্ধ করার বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। ১৯৩৮ সালে প্রচলিত আইন গুলো নতুনভাবে গঠিত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক একটি নিয়মাবলী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ফিফা ফুটবল খেলার নিয়মাবলী শুধু তার সদস্যদের ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকে। ফুটবল খেলার নিয়ম গুলি জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে কিছু ছোট ছোট ঐচ্ছিক পরিবর্তনের অনুমতি দিয়ে থাকে, 

যার মধ্যে কিছু নিম্ন স্তরের খেলার জন্য প্রযোজ্য, এছাড়া বিশ্বব্যাপী সকল ফুটবল খেলা একই নিয়মের অধীনে হয়ে থাকে। বর্তমানে খেলার নিয়মাবলীতে (এলওটিজি) ১৭টি পৃথক আইন রয়েছে এর মধ্যে প্রতিটি আইন বিভিন্ন নিয়ম এবং নির্দেশনাবলী নিয়ে গঠিত: আইন নাম্বার এক খেলার মাঠ, আইন ২. বল, আইন ৩. খেলোয়াড়, আইন ৪.খেলোয়াড়ের সাজ সরঞ্জাম, আইন ৫. রেফারি,আইন ৬. অন্যান্য কর্মকর্তা, আইন ৭. খেলার সময়কাল, 

আইন ৮. খেলা শুরু এবং পুন: শুরু ( কিক -অপ এবং ড্রপ বল অন্তর্ভুক্ত, খেলা পুনরায় আরম্ভের অন্যান্য পদ্ধতিগুলি অন্যান্য আইনের আওতাধীন )। আইন ৯. বল খেলার ভিতরে এবং বাহিরে, আইন ১০. ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করা, আইন ১২. অফ সাইট , আইন ১৩. ফ্রি কিক, আইন ১৪. পেনাল্টি কিক, আইন ১৫. নিক্ষেপ, আইন ১৫. গোল কিক , আইন ১৬. কর্নার কিক, আইন ১৭. ফাউল ও অসদাচরণ ।

ফুটবল খেলায় কতজন খেলোয়াড় থাকে

পুরো বিশ্বের জনপ্রিয় একটি খেলা হচ্ছে ফুটবল খেলা। বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের কাছেও ফুটবল খেলা অনেক জনপ্রিয়। ফুটবল খেলা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। যখন বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয় তখন মানুষের ধ্যানে জ্ঞানে শুধু ফুটবলের কথাই শোনা যায়। তাই এই জনপ্রিয় খেলা খেলার জন্য মাঠে এক দলের হয়ে মোট ১১ জন প্লেয়ার খেলতে পারে। একজন খেলোয়ার অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবর্তে খেলার জন্য অতিরিক্ত কিছু খেলোয়াড় মাঠের বাইরে রাখা হয়।

ফুটবল খেলায় রেফারি করার নিয়ম

ফুটবল খেলা পরিচালনার জন্য একজন রেফারি ও দুইজন লাইন্সম্যানদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে খেলার সকল শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা এবং ম্যাচের সকল কার্যনির্বাহ পরিচালনা করার দায়িত্ব  ফুটবল রেফারির উপর অর্পিত থাকে। লাইন্সম্যানরা তারা দুজন দুপাশ থেকে রেফারীকে তার কাজের সহযোগিতা করে থাকেন। আপনি যদি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য নিয়োজিত থাকেন তাহলে রেফারি এবং লাইন্সম্যান উভই  কাজ করতে পারেন।

ফুটবল খেলায় কতজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যায়

আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ জন খেলোয়াড় কে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে রাখা যায়। খেলা চলাকালীন অবস্থায় সর্বোচ্চ তিন বার খেলোয়াড় বদল করা যায়। তবে করোনার সময়কালে ৫ বার খেলোয়াড় বদলের সুযোগ রয়েছে। তবে জাতীয় পর্যায়ে ‘এ’ দল গুলোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় রাখার সুযোগ রয়েছে।

ট্রাইবেকার এর নিয়ম

১৯৩০ সালে যখন বিশ্বকাপ শুরু হয় তখন ট্রাইবেকারের নিয়ম ছিল না। এই নিয়ম সর্বপ্রথম ফিফা চালু করে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে অবশ্য ট্রাইব্রেকারের এর প্রয়োজন। যেহেতু এখনকার খেলা সব নকআউট পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। তাই নির্ধারিত সময়ে কোন খেলা অমীমাংসিত থাকলে, দেওয়া হয় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। তাতেও জয় পরাজয় নির্ধারিত না হলে তখন প্রয়োগ হয় পেনাল্টি শট আউট এর মাধ্যমে ট্রাইব্রেকিং পদ্ধতি। 
ট্রাইব্রেকার এমন এক নাম যার কথা শুনলে নীরব হয়ে যায় উত্তেজনাময় ফুটবলের সব উন্মাদ ভক্তরা, থমকে যায় স্টেডিয়াম সহ পুরো ফুটবল দুনিয়া। গোল লাইন থেকে ১২ গজ দূরত্বের একটি বিন্দুর মধ্যে পেন্ডুলাম এর মত দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। এ সময় দুপক্ষের কিক নেওয়া খেলোয়ার এবং গোলরক্ষককে দিতে হয় চরম পরীক্ষা। 

ট্রাইব্রেকার ফলে মুহূর্তের সফলতা -বিফলতা কাউকে হাসায় আবার কাউকে কাঁদায়। কেউ হিরো হয় আবার কেউ বা ভিলেন হয়। দুজনের যে কারো পরবর্তী কয়েক সেকেন্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি হতে পারে ইতিহাস, পাল্টে যেতে পারে ফুটবলের সুখ দুঃখের কাব্য।

ফুটবলের ফাউল কত প্রকার

দুই পক্ষের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে। কর্তৃপক্ষকে লাথি মারা, গায়ের উপর পড়ে যাওয়া, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা, ট্যাকল করার সময় বলের আগে শরীরে আঘাত করা, ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ধরা-খেলা চলাকালীন সময়ে এসব কিছু সংঘটিত হওয়াকেই ফাউল বলা হয়।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে আমরা বলতে পারি এই আর্টিকেলে ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল খেলা। বাংলাদেশও এর জনপ্রিয়তার কমতি নেই। এজন্য ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম আমাদের জেনে থাকা দরকার। তাই এই আর্টিকেলর মাধ্যমে আপনাদেরকে ফুটবল খেলার সঠিক নিয়ম জানানোর চেষ্টা করেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url