চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় জেনে নিন


এই আর্টিকেলে আমরা সাধারণত চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় নিয়ে আলোচনা করব । চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায়  নিয়ে ভাবেন না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার। তাই আমরা চুল লম্বা হওয়ার সমাধান সবাই খুঁজে বেড়াই। যদি কারো মনে এই আর্টিকেল নিয়ে প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচের আলোচনা থেকে আমরা তা উত্তর খুঁজে পাবো।

চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায়

শুধু স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে পাওয়া যায় বলে চুল স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি নির্দেশক বৈশিষ্ট্য। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে যে নরম, সুন্দর, চুল পাওয়া যায় তাকে “ফার” বা লোম বলে। এদিকে ভেড়া বা ছাগলের গা থেকে উৎপন্ন লোমকে অনেকেই উল বলে থাকেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় জেনে নিন।

ভূমিকা- চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় জেনে নিন।

চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়ার কারণে চুলের আর্দ্রতা এবং এবং চুলের সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে। এই সমস্যার যাতে না হয় সেজন্য চুল ধোয়ার সময় ঠান্ডা হালকা পানি ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে লম্বা চুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। চুল যদি লম্বা করতে চান তাহলে নিয়মিত তেল মালিশ করতে হবে। মাথার ত্বকে তেল দিয়ে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে। 

তেল দিয়ে মাথার ত্বক মেসেজ করার ফলে মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ে এবং চুলের গোড়াতে পুষ্টি আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে পৌঁছায়।ফলে চুল দ্রুত লম্বা হবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অনেকের চুলের আগা ফাটার সমস্যা আছে। এজন্য তাদের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর ট্রিম করালে এই সমস্যা থাকতে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

যখন আগা ফাটা সমস্যার সমাধান হবে। চুল বৃদ্ধি পাবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে। চুল বৃদ্ধির জন্য ভিটামিনের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। চুলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন না পেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। 


চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় এন্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ওষুধ খেলে চোলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাবে এবং চুল স্বাভাবিক গতিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে চুলের আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে যায়। সেজন্য আপনাকে সঠিক শ্যাম্পু টি খুঁজে নিতে হবে। আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী কোন শ্যাম্পু টি প্রযোজ্য সেটি আপনাকে নিজেই বাছাই করে নিতে হবে প্রয়োজনে আপনি কোন ব্রিটিশনের সাহায্য নিতে পারেন। চুল পরিষ্কার করার সময় গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা এবং
 
চুলের উজ্জ্বলতা এবং চুলের কিউটিকল গুলো হারিয়ে যাবে। এর সমস্যাগুলো এড়াতে চুল পরিষ্কার করার জন্য হালকা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা নেই তারা ঠান্ডা পানিতে চুলকানিক সময় ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতে চুল স্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাবে। যে সকল যন্ত্রপাতি চুল স্টাইলিং করার জন্য ব্যবহার করা হয়, এগুলো চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার ফলে চুল ক্রমশ তাদের চুল দুর্বল আর অমসৃণ হতে থাকে। তাদের চুল লম্বা হওয়া থেকে বিরোধী থাকে

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় হিসেবে বাঙালি নারীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ হলো কেশ চর্চা। এই কেশচর্চার সঙ্গে ছড়িয়ে আছে নারী সৌন্দর্য, রচি, এবং আভিজাত্যপূর্ণ সজ্জা। গ্রামে বসবাসকারী বেশিরভাগ নারীরা সারাদিন সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং কাজ শেষ করে অবসর সময়ে বাসা বাড়ির ভিতরে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন কেস চর্চায়। 

সময়ের সাথে সাথে রান্নার কৌশলের মতোই কেশ চর্চার বিভিন্ন রকম উপায় ছড়িয়ে পড়েছে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের কাছে। বর্তমান নাম নাগরিক জীবনে নারীরা বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ছেন এ কারণে তারা কেশ চর্চার মনোযোগী হতে পারছেন না। তাই চলুন আজ জানা যাক মাত্র ৭ দিনে চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় কিছু কার্যকারী বা স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।

চুলের যত্নে তেল- কথায় আছে পানিতে ভিজলে যেমন চুন তাজা তেলে তাজা চুল অর্থাৎ চুন ভেজানোর জন্য যেমন পানি প্রয়োজন, তেমনি চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং সচিবতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন চলে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল প্রয়োগ করা। বহু বছর ধরে সহজলভ্য এবং চুলের জন্য কার্যকরী হয় নারিকেল তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। 

নারকেল তেল মাথার ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং ভেতরে প্রবেশ করে চুলের গোড়াকে মজবুত করে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নারকেল তেলে আছে লরিক এসিড যা চুলের জন্য ক্ষতিকারক ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার হতে রক্ষা করে। ফলে চুল পড়া কমিয়ে দেয়। চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের জন্য নারকেল তেলের সাথে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলের মসৃণতা বাড়িয়ে বা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে চান? তাহলে নারিকেল তেলের সাথে পিঁয়াজ ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে গরম করে গোসলের পূর্বে ৫-১০ মিনিটের মত মাথায় চুলের গোড়ায় বা মাথার তালুতে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে এবং৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • অনেক সময় চুলে পোকা হয় বা চুল ঝরে পড়ে যায় এই সমস্যার রোদে জবা ফুল আর জবা ফুলের পাতা ভালোভাবে পেস্ট করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে গরম করে নিন। এরপর ছেকে নিন এবং সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করুন ফলে এই তেল কার্যকরী ফলাফল দিবে ।
  • ঘৃতকুমারীর জেল চুলের রুক্ষ শুষ্ক চুল থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য ঘৃতকুমারীর জেল মিহি করে পেস্ট করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তুলে প্রয়োগ করতে পারেন এবং ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে নিন।
  • যাদের মাথার ত্বকে অ্যালার্জির জনিত সমস্যা আছে সেক্ষেত্রে তুলসির তেল বেশ কার্যকারী। তুলসির পাতা বেটে মেথি সহ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে ছেকে নিন পরে বোতলে সংরক্ষণ করুন।
  • আমলকির তেল চুলের ঝলমলে ভাব ফিরিয়ে আনার জন্য বেশ উপকারী। আমলকির গোড়া মেথি কালোজিরা আর কারি পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সেই তেল ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন এবং সপ্তাহে দুই তিন দিন চুলে ব্যবহার করুন।
  • অনেকে চুল পেকে যাওয়া সমস্যায় ভুগছেন? কারি পাতার সঙ্গে নারিকেল তেল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করুন এবং সপ্তাহে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চুলপাকা সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ পাবেন।
  • খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কমলা বা লেবুর খোসা খুবই উপযোগী। তাই কমলা বা লেবুর খোসা রোদের শুকিয়ে গুড়া করে নিয়ে নারকেল তেলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গরম করে নিন পরে ঠান্ডা করে ছাক নিতে ছেকে বোতলে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ব্যবহার করুন।
  • মহিলারা সাধারণত নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকেন কারণ নারকেলের তেল ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে ভালো উপযোগী। কিন্তু এর গুনাগুন আরো বাড়াতে চাইলে নারকেল তেলের সাথে কাস্টর তেল ভিটামিন ই কিংবা এসেন্টিয়াল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে রোজ মেরি তেল খুব উপকারী হতে পারে কারণ এটি ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া কমে যায়।
  • চুলের কাঠামো ঠিক রাখার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। এই তেলটি সাধারণত একেবারে হালকা এবং আঠালো নয়। নারকেল তেলে ভিটামিন বেশি থাকায় এই তেল চুলের বেশি পুষ্টি যোগায়। এবং চুলের আদ্রতা বজায় রেখে চুলকে মজবুত করে তোলে।
  • অলিভ অয়েল অথবা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড আছে যা চুলের গোড়াকে শক্ত শক্ত করে, মাথার ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে এবং চুলকে দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • যাদের বেশি বেশি চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুবই উপকারী হচ্ছে কাস্টর ওয়েল। এটি ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না অল্প পরিমাণে ব্যবহার করলেই হয়।
  • চুল গজানোর জন্য তিলের তেল খুব উপযোগী তিলের তেল চুল সিল্কি করে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুলের পুষ্টির যোগান দিতে ব্যবহার করা হয়। পার্লারে হট অয়েল ট্রিটমেন্টে সব সময় ব্যবহার করা হয় তিলেট তেল।

চুল পড়ার কারণ

ভিটামিনের অভাব এবং পুষ্টির অভাবে আপনার চুল পড়ার কারণ হতে  পারে। অধিক পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, এবং রিফাইন্ড করা খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে আপনার চুল ঝরে যেতে পারে। তাই চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আপনার ডায়েটের সঙ্গে যোগ করুন প্রচুর ভিটামিন, ও মেগা ৩, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থসমূহ খাবার। বিশেষ করে চুল পড়ার কারণ অনেকেরই অজানা।


বেশিরভাগ মানুষ চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। আমেরিকার এক একাডেমি অফ ডার্মাটোলজিস্টদের মতে প্রতিদিন প্রায় ৯০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। আপনার যদি অতিরিক্ত ঘুম না হয়ে থাকে এবং আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা করে থাকেন এটাও চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ। আবার কারো বংশগতভাবে চুল পড়ে থাকে। 

মেয়েদের অতিরিক্ত মাসিকের চাপ থাকলে চুল পড়তে পারে. মাথার ত্বকের সংক্রমণ. হরমোনের প্রভাব পি সি ও এস. বা ফাইব্রয়েড. থাইরয়েড. ডায়াবেটিস. ক্যান্সারের চিকিৎসা ইত্যাদি সমস্যার কারণে চুল পড়তে পারি। এর মধ্যে সাতটি কারণে বেশিরভাগ মানুষ চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে বিষয়গুলি অনেকের অজানা। চলুন কারণগুলো জেনে নেই-
  • বেশিরভাগ মেয়েরা চুলের পরিচর্যা করার জন্য চুলে হিট দিয়ে থাকেন এতে চুলের কেরাতটিনের ক্ষতি হয় ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়।
  • চুল যদি আপনি আট শাট করে বাঁধেন তাহলে চুলের ফলিকলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো এটি ট্রাকশন এলোপেসিয়াও হতে পারে, এ সমস্যা হলে নতুন চুল গজাতে পারে না। তাই আপনাকে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
  • অনেকেই মাথার ত্বকে গরম পানি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো ব্যবহার করা একেবারে ঠিক না। মাথার ত্বকে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা ঠিক থাকে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক না এতে ত্বকের তেলের সৃষ্টি হয় ফলের চুল পড়ার সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
  • যখন আপনার চুল আঁচড়ানো প্রয়োজন তখনই শুধু আঁচড়ান । অতিরিক্ত চুল আঁচরিবেন না। ভেজা চুলের জন্য চওড়া চিরুনি ব্যবহার করবেন। শুষ্ক চুলের জন্য ব্রিসলস ব্যবহার করুন।
  • চুল নিয়মিত ট্রিম করানো দরকার । প্রতি৬-৮ সপ্তাহ অন্তর অন্তর ডিম করলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। গাছ যেমন ছাটাই করলে গাছের ডালপোলা বৃদ্ধি হয়, তেমনি আমাদের চুল ছাটাই করার প্রয়োজন।
  • প্যারাবেনস, সালফেটস, ও অ্যালকোহল যুক্ত চুলের পণ্য ব্যবহার করবেন না। এমন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলেই বেশিরভাগ মানুষের চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। ভালো অর্গানিক পণ্য ব্যবহার করুন এবং চুলের যত্ন নিন।
  • বেশিরভাগ মানুষ কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই ট্রেস বা দুশ্চিন্তায় ভুগেন। ট্রেস বাড়লে করটিসল হরমোন নিঃসরণও বেড়ে যায়। বেড়ে যাওয়ার ফলে প্রধান সৃষ্টি হয় চুল লম্বা হওয়া কমে যায়।

চুল গজানোর উপায়

চুল নিয়ে সমস্যায় ভোগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তাই মাথায় চুল টিকিয়ে রাখার জন্য চিন্তার শেষ নেই। যাদের মাথার চুল পাতলা হয়ে গেছে, মাথায় টাক পড়ে গেছে, চুল গজানোর জন্য তারা কতই না কিছু করে থাকে। প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল পড়বেই এটাই স্বাভাবিক। তবে চুল পড়ার পাশাপাশি যদি চুল না গজায়, তখন ওই চুল পাতলা হতে শুরু করে। চুল নতুন ভাবে গজানোর উপায় বেশিরভাগ নির্ভর করে আপনার উপর  । 

আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন, আপনি কিভাবে চুলের যত্ন নিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে চুল গজাবে। আপনি যে জিনিসেরই যত্ন নিবেন সেটাই সুন্দর হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যত ভালো করে যত্ন নেবেন। তত ভালোভাবে চুল গজাবে। এজন্য আপনাকে চুলের যত্ন নেওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন চুল গজানোর উপায়-

  • নিম পাতার ব্যবহার-নিম পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হতে পারে। শুধু ত্বকের ব্যবহার না চুলের যত্নেও নিমপাতা বেশ কার্যকারী। একমুঠো নিমপাতা পানি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এবার ফুটানো পানিটি ঠান্ডা করে নিন তারপর বোতলে সংরক্ষণ করুন। শ্যাম্পু করার পূর্বে এই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে সপ্তাহে একবার। মাথায় যদি কোন খুশকি বার সংক্রমণের সমস্যা হয়ে থাকে সেটিও দূর করে দিবে এই মিশ্রণ। চুলের গোড়া শক্ত করবে এবং চুল গজাতে সাহায্য করবে।
  • পেঁয়াজের রস-পেঁয়াজের রস চুল গজানোর জন্য ভালো ভূমিকা রাখে। পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝালো গন্ধ বিরক্তিকর হলেও এটি চুল পড়া কমিয়ে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। কয়েকটি পিএস ভালোভাবে পেস্ট করে নিন এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে। এরপর এই মিশ্রণটি মাথায় ভালো হবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। ফলে নতুন চুল গজাবে।
  • মেথি- মেথির উপাদান চুল গজানোর ক্ষেত্রে কার্যকারী উপাদান। মাথার চুল গজাতে মেথি ভূমিকা রেখে থাকে। পরিষ্কার পানিতে সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন সকালে উঠে সে মেথি পেস্ট করে নিন। সেই পেস্ট করা মেথি দই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পরে হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
  • কালোজিরা ও মেথি-নতুন চুল গজানোর জন্য কালোজিরা ও মেথি ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর গোড়া করে নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশানো এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন ফুটানোর পরে ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন। এই মিশ্রণটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। সপ্তাহে তিন দিন এটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তাহলে, রসুন, পেঁয়াজ, আদার রস। এই তিন উপাদান গুলোর রস রাতে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন এবং সারারাত রেখে দিন সকালে চুল পরিষ্কার করে নিন। এক সপ্তাহ এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে হাতেনাতে প্রমাণ পাবেন। অনেকেই চুল পড়ার সমস্যা ভোগে থাকেন। এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত দূষণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব, চুলের পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন না নেওয়া। 

অনেকেই চুল পড়া রোধ করার জন্য বাজারের বিভিন্ন রকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো সাময়িক কাজ করলেও পরবর্তীতে এগুলো চুলের ক্ষতি করে থাকে। তাই চুল দ্রুত লম্বা করার সেরা উপায় হিসাবে  ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু হেয়ার প্যাক আছে যা আপনার বন্ধু হতে পারে। নিয়ম করে যদি এগুলো ব্যবহার করা যায় তাহলে চুল পড়া কমে যাবে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই-

অ্যালোভেরা ও নারকেল তেল-
এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী ত্বকের জন্য দারুন উপকারী। চার টেবিল চামচ এলোভেরার সাথে পরিমাণ মতো নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে তুলে মেখে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। দুই থেকে তিন দিন সপ্তাহে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

অলিভ অয়েল ও ডিমের সাদা অংশ-
শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধানের ডিমের এর ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু চুল ঝরা রোধ করতে এর উপকারিতা ও কম না। অলিভ অয়েল ও ডিমের সাদা অংশ এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপর মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা অনেকটাই চুল পড়া রোধ করবে।

পেঁয়াজের রস ও মধু-
পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে চুলের যত্নের জন্য ভূমিকা রাখে। মধু মিশিয়ে নিন মেশানোর পর এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই মিশ্রনটি লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যাবে। চুল পড়া কমাতে এই ঘরোয়া এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন এবং ভরসা করুন দ্রুত কার্যকারী ফল পাবেন।

মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

ভিটামিন বি -১২, ভিটামিন- ডি, চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও মাথার ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যুগিয়ে থাকে। এই দুইটি ভিটামিনের অভাবে চুল পড়তে পারে। যে সকল মহিলারাসূর্যলোকের সংস্পর্শে কম আসেন তাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে পারে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। যদি কখনো এর বেশি পড়ে তখনই শুরু হয় টেনশন।

চুল পড়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে বংশগত মশা কিংবা আমাদের কিছু কিছু ভুলের কারণে হতে পারে। চলুন নিচের আলোচনা থেকে জেনে নেই মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার-
  • কাজের ব্যস্ততার জন্য অনেকেই চুল আঁচড়ানোর কথা ভুলে যান। প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ মিনিট চুল ভালোভাবে আচরানো দরকার। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
  • যাদের চুল অনেক লম্বা তারা যদি চুল বেঁধে না ঘুমান তাহলে চুলের মাথা ফেটে যেতে পারে এবং ভাঙতে শুরু করতে পারে।
  • নিয়মিত যদি আপনি চুল পরিষ্কার যদি না করেন বা অতিরিক্ত খুশির হয়ে থাকে চুল পড়তে পারে।
  • জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, বা অন্যান্য তীব্র জ্বরের পর অনেকের চুল পড়ে যেতে পারে। করোনা থেকে সরে উঠার পরে অনেকের চুল পড়া দেখা গেছে।
  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই চুলে অতিরিক্ত ব্লিসিং ও ড্রাই ভ চুলের ক্ষতি করে থাকে।
  • অতিরিক চাপেও চুল পড়ে যেতে পারে।
  • থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চুল পড়ে যেতে পারে। শরীরে হরমোনের পরিমাণ কম বেশি হলে চুল পড়তে পারে।
  • অনেক মেয়েরা ভেজা চুল আঁচড়ায় এক্ষেত্রে চুলের গোড়া নরম থাকে ফলে চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়ার ফলে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • মেয়েদের রক্তহীনতা ও পুষ্টিহীনতার কারণে চুল পড়তে পারে।

    প্রতিকার
  • চুল পড়া বা টাক হয়ে যাওয়া যদি বংশগত হয়ে থাকে তাহলে কিছু করার থাকে না। স্বাভাবিকের চেয়ে যদি বেশি চুল পড়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটাই ভালো সে ক্ষেত্রে হয়তো রক্ত পরীক্ষা করে। আবার ভিটামিন এর পরিমাণ আয়রন থাইরয়েড এসব পরীক্ষা করা হয়। এর বাহিরে যেসব করতে হবে-
  • নিয়মিতভাবে চুল আঁচড়াতে হবে।
  • সপ্তাহে দুই-তিনবার শ্যাম্পু করতে হবে শ্যাম্পু করার আগে তুলে তেল মেখে নিলে ভালো হয়।
  • ভেজা চুল না আঁচড়ানো।
  • ব্লিচিং বা ড্রাই মেশিন ব্যবহার না করা।
  • চুলের আগা যদি ফেটে যায় তাহলে তা ছেঁটে ফেলতে হবে।
  • পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে মাখার পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে পারেন এতে মাথার ত্বকের সংক্রমণ হবে না।
  • চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য মেহেদি পাতা বেটে লাগানো হলে চুল পড়া বন্ধ হতে পারে।
  • এলোভেরা মাখা চুলের জন্য বেশ কার্যকারী। এলোভেরা জেল ১৫-২০ মিনিট মেঘে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • মসুর ডাল ভালোভাবে পেস্ট করে মাথার ত্বকে লাগালে চুলের গোড়া মজবুত থাকে।
  • মেহেদী বাটা,, পেঁয়াজের রস, নিম পাতা বাটা,, লেবুর রস, টক একসঙ্গে মিশিয়ে ত্রিশ চল্লিশ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন
যে ভুলে চুল পড়ে
  • কাজের ব্যস্ততার জন্য অনেকেই চুল আঁচড়ানোর কথা ভুলে যান। প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ মিনিট চুল ভালোভাবে আচরানো দরকার। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
  • যাদের চুল অনেক লম্বা তারা যদি চুল বেঁধে না ঘুমান তাহলে চুলের মাথা ফেটে যেতে পারে এবং ভাঙতে শুরু করতে পারে।
  • নিয়মিত যদি আপনি চুল পরিষ্কার না করেন বা অতিরিক্ত খুশির কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, বা অন্যান্য তীব্র জ্বরের পর অনেকের চুল পড়ে যেতে পারে। করোনা থেকে সরে উঠার পরে অনেকের চুল পড়া দেখা গেছে।
  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই চুলে অতিরিক্ত ব্লিসিং ও ড্রাই ভ চুলের ক্ষতি করে থাকে।
  • অতিরিক চাপেও চুল পড়ে যেতে পারে।
  • থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চুল পড়ে যেতে পারে। শরীরে হরমোনের পরিমাণ কম বেশি হলে চুল পড়তে পারে।
  • অনেক মেয়েরা ভেজা চুল আঁচড়ায় এক্ষেত্রে চুলের গোড়া নরম থাকে ফলে চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়ার ফলে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • মেয়েদের রক্তহীনতা ও পুষ্টিহীনতার কারণে চুল পড়তে পারে।

ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান

বিশেষ করে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হলে বা শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ে যায়। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় মাছ-মাংস সহ চর্বিযুক্ত, বিভিন্ন প্রোটিন খাবার রাখুন। এগুলো চুলের পুষ্টি যোগায়, চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি করে, চলে ভিটামিনের যোগান দেয় এবং চুল পড়া রোধ করে।নারী পুরুষ উভয়েই এই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। পুরুষেরা যেহেতু বাহিরের কাজ বেশি করে থাকেন এজন্য তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। 

এছাড়া নারীরা তাদের চুলের যত্ন বেশি নিয়ে থাকেন এর কারণে নারীদের চেয়ে পুরুষের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবমিলিয়ে কম বয়সেই অনেকেরই চুল পড়ে মাথায় টাক পড়ে যায়। আর মাথার চুল কমে গেলে আত্মবিশ্বাস্য কমে যায়। সে ক্ষেত্রে ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান হিসাবে চুল পড়া বন্ধের ১০ টি উপায় লক্ষ্য করা যায় তা নিম্নরূপ-
  • চুল পড়া রোধ করার জন্য চুলের গোড়ায় ভিটামিন ই ব্যবহার করুন। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় ভিটামিন ই। ফলে চুলের গোড়ায় ফলিকল উৎপাদনশীল থাকে । এছাড়া ভিটামিন এ স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
  • খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হলে বাস শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়তে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় মাছ-মাংস সহ চর্বিযুক্ত প্রোটিন খাবার রাখুন। এগুলো চুলের পুষ্টি যোগায়, চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং চুল পড়া রোধ করে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো ঠিক না। চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া নরম থাকে। অনেক পুরুষ মানুষ এটা জানেন না এ কারণে তারা ভেজা চুল আঁচড়িয়ে থাকেন। এজন্য চুল পড়া বেড়ে যায়।
  • পিঁয়াজের রস, আদার রস, রসুনের রস, এগুলো ব্যবহার করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। এই উপাদান গুলো চুলে মেখে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। ব্যবহার করলে। এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
  • আপনার শরীরে যদি পানি শূন্যতা বেড়ে যায় তাহলে চুল পড়াও বেড়ে যাবে। তাই চুল পড়া বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা হয়েছে। তাই প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন।
  • চুল পড়া রোধে একটি গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি ব্যবহারে চুল পড়া রোধে খুবই কার্যকারী। এক কাপ পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে নিন। মিক্সারটি ঠান্ডা করে নিন পরে ভালোভাবে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন। এক ঘন্টা পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৭ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হব।
  • অনেকের মাথা বেশি ঘেমে থাকে এই ঘামার কারণে পুরুষদের মাথায় বেশি ভাগ ময়লা জমে তবে খেয়াল রাখতে হবে মাথার ত্বক যেন বেশি তই লাগতো না হয়। এজন্য পুরুষের মাথার চুল পড়ার পরিমাণটা বেড়ে যায়। নিম যুক্ত শ্যাম্পু বা অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। এই উপাদান গুলো ব্যবহার করলে মাথা ঠান্ডা থাকবে চুল পড়া বন্ধ হবে।
  • পুরুষেরা বেশিরভাগ বিভিন্ন রকম নেশায় আসক্ত হয়ে থাকেন। যেমন মদ্যপান ও ধূমপান চুল পড়ার কারণ হতে পারে। ধুমপান করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য আমাদের ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে হবে। দিনে অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। সাইকেল চালাতে পারেন সাঁতার কাটতে পারেন এতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে ও স্ট্রেসের মাত্রা কমবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
  • প্রতিদিন নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী। এতে চুলের গোড়ায় জমা ময়লা পরিষ্কার থাকে ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়। চুল যদি অপরিষ্কার রাখেন তাহলে খুশকি ও মাথার ত্বকের সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

লেখকের মন্তব্য ও শেষ কথা

চুল মানুষের অমূল্য সম্পদ। কে না চায় তার মাথায় চুল থাকবে না। সবাই চাই কিভাবে চুল দ্রুত লম্বা করা যায়। তাই আমরা উপরে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি। উপরের আলোচনা ভালোভাবে আপনি যদি পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে চুল দ্রুত লম্বা করানো যায়। আশা করি উপরের আলোচনা মাধ্যমে আপনাদের কে বোঝাতে পেরেছি চুল দ্রুতলম্বা করার সেরা উপায়।















































































































































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url