আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অপকারিতা জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। আলু অন্যতম একটি সবজি । আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবজি হিসেবে আলুর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিনের রান্নার তালিকায় সবজি হিসেবে আলু থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশের ভাতের পরবর্তী স্থান হচ্ছে আলু। আলু আমাদের পরিবারের রান্নার একটি অংশ।

আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা  অপকারিতা
কয়েক শত জাতের আলু চাষ হয় বিশ্বে। আলুর জাত ভেদে  এলাকার জাত আরেক এলাকার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। বাংলাদেশে দুই ধরনের আলু চাষ হয়। একটি হলো স্থানীয় জাত অন্যটি হলো উচ্চ ফলনশীল (উফশী)।

পোস্ট সূচীপত্র: আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জেনে নিন

ভূমিকা-আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জেনে নিন

আলু হলো উদ্ভিদের একটি শ্বেতসার সম্পৃক্ত কন্দ এবং এটি আমেরিকার স্থানীয় একটি মূল সবজি। বন্য আলুর প্রজাতি আমেরিকার জুড়ে কানাডা থেকে দক্ষিণ চিলি পর্যন্ত পাওয়া যায়। আলু মূল্যতো স্থানীয় আমেরিকানদের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ভাবে একাধিক স্থানে গৃহপালিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বংশানুগত গবেষণা গুলি বর্তমান দক্ষিণ পেরু এবং ক্রান্তীয় উত্তর-পশ্চিম বলিভিয়ার অঞ্চলে একটি একক ক্রান্তীয় উত্তর পশ্চিম বলিভিয়ার অঞ্চলে একটি একক উত্স শনাক্ত করেছে।

আলু প্রায় সাত হাজার থেকে ১০ হাজার বছর আগে মিশ্রনের একটি প্রজাতি থেকে পালিত হয়েছিল। দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ অঞ্চলের যেখানে প্রজাতিটি আদিবাসী সেখানে আলু কিছু নিকট আত্মীয় চাষ করা হয়। আলুতে আছে সাধারণত অনেক পুষ্টিগুণ যা মানব দেহের অনেক উপকার করে থাকে। আলুতে থাকা ভিটামিন, বিটামিন সি, মিনারেল, ও পটাশিয়াম, কোলেস্টেরল, নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ সাহায্য করে।

আলুর পুষ্টি উপাদান

অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আমরা প্রতিদিন আলু খেয়ে থাকি। আলুতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান। আলুতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও‘সি’। আবার আলুর খোসাতে আছে ভিটামিন ‘এ, পটাশিয়াম, আয়রন, আন্টি-অক্সাইড, ফাইবার, সহ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট।

আসুন তাহলে জেনে নিন আলুর পুষ্টিগুন সম্পর্কে-
  • আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি আছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
    আলোতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ যা মন ভালো রাখার জন্য কার্যকরী। তার মধ্যে দুটি উপাদান সেরে টনিন ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার গঠনে সহায়তা করে।
  •  আলুতে গ্লুকোজ অক্সিজেন ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ও অন্যান্য ফ্যাটি এসিড আছে যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
  • আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • সিদ্ধ আলুর নিয়ম করে খেলে শরীরের প্রদাহ কমে। ফলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি লাভ হয় ।
  • খোসাসহ আলুর ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।

আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা

সাধারণত আলু একটি সবজি তবে এর বৈশিষ্ট্য গুলিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। আলু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের প্রধান খাদ্য সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আলু এমন একটি সবজি যা সবাই খায়।

আলু শিশুর খাদ্যের প্রথম সবজি একটি। আলু সাধারণত স্বাদ যুক্ত খাবার , এর মধ্যে অনেক ওষুধি গুণ পাওয়া যায়। আলুকে কার্বোহাইড্রেট এর ভান্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খুব কম পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায় আলুতে, সঠিক পরিমাণ ক্যালরিও  পাওয়া যায়। আলু কখনো খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত নয় কারণ এর সবচেয়ে পুষ্টিকর অংশ এর খোসার ঠিক নিচে থাকে।

আলুর উপকারিতা

ওজন লাভ: যদি ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। তাহলে বেশি বেশি আলু খাবার খেতে হবে। আলোতে কম পরিমাণে প্রোটিন থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে কার্বোহাইডেট থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট ওজন কমাতে ও বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। আপনার ওজন যদি খুব কম হয় এবং আপনি যদি পাতলা হন। আপনার ওজন বাড়াতে চান যদি তাহলে অবশ্যই আপনার ডায়েটে আলু রাখুন। এ কারণে আলু কুস্তিগীর এবং বডি বিল্ডারদের খাদ্যের বড় একটি অংশ।

হজম শক্তি বাড়াতে আলু: আলোতে প্রধানত কার্বোহাইড্রেট থাকে। যে কারণে হজম সহজ করে এবং হজম শক্তি বাড়ায় । তবে শিশু এবং রোগীদের ক্ষেত্রে সেদ্ধ আলু ভাল খাবার মনে করা হয়। তবে মনে রাখবেন যে প্রতিদিন এক থেকে দুইয়ের বেশি সিদ্ধ আলু খাওয়া ঠিক না এতে আপনার এসিডিটি হতে পারে।

ত্বকের জন্য আলুর উপকারিতা: আলুতে সাধারণত ভিটামিন সি, এবং বি কমপ্লেক্সের পাশাপাশি আলুতে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিংক এর মতো খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা আলু পেস্ট করে অথবা আলুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

প্রদাহে আলুর উপকারিতা: আলু প্রদাহের জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে যা আলু সাধারণত ফোলা অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক হতে পারে। আলু খাওয়া উভয় অবস্থাতেই উপকারী। আলু সেদ্ধ করলে সাধারণত নরম হয়ে যায়। এজন্য আলু খাওয়া সহজ সেই সাথে আলুতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি সিক্স, এবং খনিজ উপাদান এবং পাচনতন্ত্রের , প্রদাহ কমায়। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে আলু: আলুর একটি ঔষধি গুণ আছে যা আপনাকে রক্ষা করে থাকে। কিছু ধরনের আলু বিশেষ করে লাল এবং বাদামি আলুতে রয়েছে ফ্ল্য়াভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ যা আপনাকে অনেক ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। কৃষি গবেষণা সার্ভিসে দেখা গেছে যে আলুতে ও কোয়ারসেটিন নামক একটি রোগ রয়েছে।

যার রয়েছে অ্যান্টি- ক্যান্সার, ও আন্টি- টিউমার বৈশিষ্ট্য। অবশেষে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্যান্সারের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে আপনার শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে।

মস্তিষ্কের উপকারে আলু: আলুর উপর মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা অক্সিজেন সরবরাহ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স উপস্থিতি কিছু উপাদান হরমোন ওমেগা ৩ এর মত amino এসিডের উপর । কারণ আলুতে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার কারণে এটি আমাদের জন্য উপকারী ।

আলুর উপকারিতা হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে: আলুতে ভিটামিন খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টির পাশাপাশি আছে ক্যারোটিনয়েড নামক উপাদান যা আমাদের হৃদপিণ্ড এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির জন্য প্রযোজ্য। তবে এটি গ্রহণের ফলে শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই এটি অতিরিক্ত সেবন করা উচিত নয়। বেশি সেবন করলে সরাসরি হার্টকে প্রভাবিত করে। তাই প্রতিদিন আলু খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আলুর উপকারিতা ডায়রিয়ার আরাম দেয়: সেদ্ধ করা আলু খুব হালকা এবং খুব সহজে হজম হয়। এজন্য ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা এই আলু ব্যবহার করে তাদের হারানো শক্তি ফিরে পেতে পারেন। 

কিডনি পাথরের জন্য আলুর উপকারিতা: বিশেষ করে আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তাতে আমরা প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাই এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কিডনিতে পাথর প্রধানত আয়রন এবং ক্যালসিয়াম উভয় সমৃদ্ধ। রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়ায় যা কিডনি ও পাথরের জন্য ভালো বলে বিবেচিত না হলেও এতে নিসিয়াম পাওয়া যায় কিডনিতে  ক্যালসিয়াম জমা রোধ করে এবং অন্যান্য উৎকর্ষ আলুর ক্যালকুলাস এর জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত।

রক্তচাপ কমাতে আলুর উপকারিতা: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আলুর ভূমিকা অপরিসীম। রক্তচাপের সমস্যা সাধারণত (বদহজম,ডায়াবেটিস ,মানসিক চাপ, খাদ্যের ভারসাম্যহীনতা) কারণে হয়ে থাকে । আলুর ব্যবহার মানসিক চাপ এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে ভিটামিন সি এবং ফাইবারের কারণে এটি বদহজমের চিকিৎসা করতে পারে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের আলু থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ তাদের আলু খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আলু: আলুতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন আর্থ্রাইটিস রোগীদের উপশম দেয়।

আলুর অপকারিতা

আলু খাওয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে নিম্নরূপ-
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা আলু না খেয়ে আলু ভেজে খাওয়া উচিত ।
  • অতিরিক্ত আলু খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে।
  • সবুজ আলু বিষাক্তর কারণ এতে ৩ -৩ -অ্যালকালয়েড যেমন সলেনিন, চ্যাকোনিন এবং আর্সেনিক থাকে। এর রাসায়নিকের অতিরিক্ত গ্রহণে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
  • আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের আলু খাওয়া থেকে বিরতি থাকতে হবে।
  • আলুর ব্যবহার রক্তের শর্করা ভারসাম্যহীনতা ক্ষুধারাস, টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো জটিলতা বাড়ায়।
  • পচা নষ্ট আলু শরীরের জন্য বিষাক্তকর এটা না খাওয়াই ভালো।

আলুতে কি ফ্যাট আছে

অনেকে মোটা হওয়ার ভয়ে আলো এড়িয়ে চলেন। এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের ডায়েটে তালিকায় আলু স্থান নেই। কিন্তু আলু খেলে কি সত্যি ওজন বাড়ে? এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা । উপরন্ত আলুকে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর প্রথম সারিতে রেখেছেন। এর কারণ আলুতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। এর কারণ আলুতে ভিটামিন সি ভিটামিন বি ৬ রয়েছে তাছাড়া আলুর মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট কমপ্লেক্স হওয়ায় তা সহজে রক্তের শর্করা পরিমাণও বাড়িয়ে তুলে না। 

আলুর খোসায় ফাইবার থাকে এজন্য স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। আলু খেলে ওজন বাড়বে কি না তা নির্ভর করে আপনি কি খাচ্ছেন তার উপর। তেলে ফ্যাট থাকে তাই আলু ভাজি এড়িয়ে চলা উচিত। তাছাড়া একটি মাঝারি মাপের আলুতে ১৬৩ ক্যালোরি এনার্জি থাকে। তাই কোন ভারী খাবারের সঙ্গে আলু খাওয়া উচিত না। আলুকে ভয় না করে নিশ্চিন্তে খান ।

দেশি লাল আলুর উপকারিতা

অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত আলু খেয়ে থাকি। আমাদের দেশে ভাতের পরেই আলু স্থান। কারণ আলুতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ পুষ্টিগুণ। আলুতে পাওয়া যায় ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ ও‘সি’। এছাড়া আলুর খোসাতে আছে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, আয়রন, আন্টি-অক্সাইড, ফাইবার, সহ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট।

উপকারিতা

ররক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে আলু। কারণ আলুতে আছে কুকোয়া -মাইনাস নামের এক ধরনের কেমিক্যাল। তবে অতিরিক্ত আলু খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ ওজনও বেড়ে যেতে পারে ।
হজমে সহায়ক: হজমের জন্য আলু খুব ভালো কারণ আলুতে আছে হাই ফাইবার যা হজম করতে সাহায্য করে।
ত্বকের পক্ষে উপকারী: আলু ত্বকে লাগালে ত্বকের বিভিন্ন দাগ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আলুতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিং ফসফরাস, ইত্যাদি আছে যা ত্বকের জন্য অনেক জরুরী। আলুর রস রোধের পুরা ভাব দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ: আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আলুতে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মানসিক চাপ কমায়: আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যাতে মন ভালো করার কার্যকরী দুইটা উপাদান রয়েছে তা হলো সেরিটোনিন ও ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার গঠনের সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের সচল ও কর্মক্ষম রাখে: আলুতে গ্লুকোজ অক্সিজেন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অ্যামিনো এসিড, অন্যান্য ফ্যাটিক এসিড আছে যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখার উপাদান গুলো সরবরাহ করে।

আলু খেলে কি মোটা হয়

আলু খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন রকম দ্বিধা কাজ করে। ভালো মানের শর্করা খেলেই বুঝি মোটা হয়ে যাব, এমন ধারণা পোষণ করেন অনেকেই। প্রচুর পরিমাণে আলু খেলে ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস সহ আরো বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ে । তবে আলু কিভাবে খাচ্ছেন এটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে তরকারির সাথে মিক্স সবজির সাথে,বা সেদ্ধ আলু ভর্তা খেলে তেমন কোন সমস্যা নেই।

যেদিন খাবার তালিকায় আলু ভর্তা থাকবে সেদিন ভাত কম খেতে হবে। আলুতে ভাতের চেয়ে কম ক্যালরি থাকে। আলুতে বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আলু ভিটামিন বি ৬ এর একটি ভালো উৎস। আলুতে কিছু পরিমাণ পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে তাই খাদ্যভাস  থেকে আলু একেবারে বাদ না দিয়ে মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে সেদ্ধ করে বা তরকারি দিয়ে আলু খেতেই পারেন।

সিদ্ধ আলু খাওয়ার উপকারিতা

অনেকে মনে করেন আলু খেলেই ওজন বেড়ে যাবে। তবে সেদ্ধ খেলে ওজন বাড়ার বদলে মেলে নানা উপকার। জেনে নিন এ বিষয়ে-
  • নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ: আলুতে থাকা ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই সাথে সাথে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হার্টের কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে।
  • মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: সেদ্ধ করা আলু খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মস্তিষ্কে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
  • ফাইবারের চাহিদা মেটায়: মাঝারি মাপের একটা আলুতে দুই গ্রামের কাছাকাছি ফাইবার থাকে, যা ফাইবারের চাহিদার প্রায় ৮% পূরণ করতে সক্ষম।
  • ভিটামিন সি এর যোগান দেয়: সিদ্ধ করা আলু ভিটামিন সি এর যোগান দিয়ে থাকে। এজন্য আমাদেরকে আলু সিদ্ধ করে খেতে হবে। সিদ্ধ করা আলু শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। ফলে একাধিক রোগ দূর করে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধক সহায়ক: আলুতে প্রচুর পরিমাণে আছে আন্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ, যা শরীরের ক্যান্সার সেলকে জন্ম নিতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোনরকম মরণব্যাধিক কাঁধে ঘেঁষতে দেয় না। 

পাঠকের মন্তব্য ও শেষ কথা

উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমরা আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম । আলু হলো উদ্ভিদের একটি শ্বেতসার সম্পৃক্ত কন্দ এবং এটি আমেরিকার স্থানীয় একটি মূল সবজি। বন্য আলুর প্রজাতি আমেরিকার জুড়ে কানাডা থেকে দক্ষিণ চিলি পর্যন্ত পাওয়া যায়। আলু মূল্য তো স্থানীয় আমেরিকানদের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ভাবে একাধিক স্থানে গৃহপালিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url